কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বন দপ্তরের দায়িত্ব পেতে চলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এখন অনগ্রসর ও আদিবাসী কল্যাণ দপ্তরের দায়িত্বে আছেন। বন দপ্তরের মন্ত্রী এখন ব্রাত্য বসু। এই দপ্তর চলে গেলেও তাঁর কাছে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও বায়োটেকনোলজি দপ্তর থাকবে। অনগ্রসর ও আদিবাসী কল্যাণ দপ্তরের দায়িত্ব পেতে পারেন বিনয় বর্মণ। তিনি এখন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী। বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তি দপ্তরের মন্ত্রী এখন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, শোভনদেববাবুর কাছে শুধু বিদ্যুৎ দপ্তরটি থাকবে। অপ্রচলিত শক্তি দপ্তরটি পাচ্ছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সুব্রতবাবু পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সঙ্গে এখন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বে আছেন। তাঁর হাত থেকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরটি চলে যাচ্ছে। ওই দপ্তরটি ফিরে পাচ্ছেন শান্তিরাম মাহাত। তিনি এখন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও কয়েকটি দপ্তরে মন্ত্রী পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তি দপ্তর সাধারণত একজন মন্ত্রীর কাছে থাকে। অপ্রচলিত শক্তির দায়িত্বে প্রবীণ সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে এনে এই দপ্তরের কাজে গতি আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকল্প শক্তির চাহিদা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দপ্তরটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
লোকসভা নির্বাচনের পর মে মাসে রাজ্য মন্ত্রিসভায় কিছু পরিবর্তন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমাঞ্চল দপ্তরের মন্ত্রী পুরুলিয়ার বলরামপুর বিধানসভা থেকে নির্বাচিত শান্তিরাম মাহাতর কাছ থেকে দপ্তর নিয়ে নেওয়া হয়। কোচবিহারের মাথাভাঙা থেকে নির্বাচিত বন দপ্তরের দায়িত্বে থাকা বিনয় বর্মণও দপ্তর হারান। দু’জনকে অবশ্য দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে রেখে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, দুই মন্ত্রীর জেলাতেই তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছিল। দু’টি আসনই জেতে বিজেপি।
গত মে মাসে মন্ত্রিসভার পরিবর্তনের সময় সেচ দপ্তরের দায়িত্ব রাজীববাবুর কাছ থেকে নিয়ে তাঁকে অনগ্রসর ও আদিবাসী কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী করা হয়। রাজীববাবু এবার বন দপ্তর পেতে পারেন। দ্বিতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতকে অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরটি দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে রাজীববাবুকে ওই দপ্তরটি দেওয়া হয়। গ্রামীণ এলাকা থেকে নির্বাচিত একজন বিধায়ককে ফের অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরে আনা হল। রাজীববাবুর নির্বাচনী কেন্দ্র কলকাতা সংলগ্ন হাওড়ার ডোমজুড়। প্রথম তৃণমূল সরকারের সময় অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন ঝাড়গ্রাম থেকে নির্বাচিত সুকুমার হাঁসদা। দ্বিতীয় তূণমূল সরকারে তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি। পরে হায়দার আজিজ সফির মৃত্যুর পর তিনি বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হন।