রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পিএফ খেলাপি সংস্থাগুলিকে শায়েস্তা করতে দাওয়াই বাতলেছিল কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। বলা হয়েছিল, যে সংস্থা কোনও এক মাস পিএফের টাকা জমা করবে না, তাদের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। এতে পিএফ না মেটানো সংস্থাগুলির টনক নড়বে। নিজেদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কাতেই তারা সময়ে টাকা মেটাবে, এমনটাই আশা ছিল কেন্দ্রের। সেই মতো জারি হয় নির্দেশিকাও। কিন্তু কোনও আজানা কারণে এখনও পর্যন্ত সেই পদক্ষেপ করতে পারেনি তারা। তবে দপ্তর সূত্রে খবর, এ রাজ্যে কর্মচারীদের থেকে পিএফ কেটে নিয়ে পিএফ অফিসে জমা দিচ্ছে না, এমন সংস্থার সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৫০। এর মধ্যে সিংহভাগই দীর্ঘদিন ধরে জমা করছে না পিএফ। তিন মাস ধরে পিএফের টাকা জমা করছে না, এমন সংস্থা রয়েছে ৫ হাজার ১১৬টি। বাদবাকি সবাই এ রাজ্যে চার মাস বা তারও বেশি সময়ের ‘ডিফল্টার’। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের কাছে এই হিসেবই পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইপিএফ সূত্রে। সর্বভারতীয় হিসেবেও অবশ্য এই সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক। চার মাস বা তার বেশি দিন ধরে পিএফের টাকা দপ্তরে জমা না করার তালিকায় আছে মোট দেড় লক্ষেরও বেশি সংস্থা। ।
সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও কর্মচারীদের সামাজিক সুরক্ষা বাড়াতে সাম্প্রতিককালে একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নেয় এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। পিএফের সঙ্গে যুক্ত জীবন বিমায় গ্রাহকের ‘কভারেজ’ বা ক্ষতিপূরণের অঙ্ক বাড়ানো হয়। এর পাশাপাশি টাকা পাওয়া সহজ করতে একগুচ্ছ প্রশাসনিক পদক্ষপ নেওয়া হয়। ন্যূনতম পেনশন বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়। তা যাতে আরও বাড়ানো যায়, তার জন্যও উদ্যোগ শুরু হয়েছে দপ্তরে। সাম্প্রতিককালে যে হারে পিএফে সুদ প্রদান করেছে কেন্দ্র, তা সরকারি যে কোনও সঞ্চয় প্রকল্পের চেয়ে বেশি। এরই মাঝে কর্মচারীদের স্বার্থবিরোধী কাজ করা সংস্থার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন পিএফ দপ্তরও। এখানকার কর্তারা বলছেন, পিএফ সংক্রান্ত পাওনাগন্ডা যাতে কর্মীরা সঠিক সময়ে পান, তার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী রোজগার প্রোৎসাহন যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার নিজেই কর্মদাতার হয়ে পিএফের টাকা জমা করে দিচ্ছে। পিএফের টাকা দেওয়ার ভার লাঘব করতেই এই উদ্যোগ। কিন্তু এর পরও যেভাবে পেএফ খেলাপির সংখ্যা বাড়ছে, তাকে বাগে আনতে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। প্রয়োজনে ‘পেনাল্টি’ও আরোপ করা হতে পারে সেই সব সংস্থার উপর, জানিয়েছেন তাঁরা।