গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ওই বৈঠকের পরে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের প্রধান সচিব দুষ্যন্ত নারিয়ালা সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। ৬ লক্ষ ২০ হাজার জলের পাউচ দিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। গোসাবা ও রাঙাবেলিয়া এলাকায় ১২টি ট্যাঙ্কে পরিশোধিত জল সরবরাহ করা হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় টিম হেলিকপ্টারে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি এলাকা পরিদর্শন করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, পাথরপ্রতিমা প্রভৃতি বিধ্বস্ত এলাকা গাড়িতে করে ঘুরে দেখে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। পরে ব্লক, মহকুমা, জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের ওই টিমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্মসচিব কে বি সিং ছাড়াও অর্থমন্ত্রকের ব্যয় বরাদ্দ দপ্তরের সহ অধিকর্তা সুমিত আগরওয়াল, কৃষি ও কৃষক সহায়তা অধিকর্তা নরেন্দ্র কুমার, কেন্দ্রীয় শক্তিমন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর ও পি সুমন সহ ন’জন অফিসার ছিলেন। তাঁরা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে এবং সেখানকার মানুষ ও সরকারি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে যা জেনেছেন, তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের দেওয়া রিপোর্ট মিলিয়ে দেখবেন। তার উপর ভিত্তি করে ক্ষতিপূরণের টাকা মিলবে বলে জানা গিয়েছে। শনিবার নবান্নের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সন্ধ্যায় তাঁরা দিল্লি চলে যান।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আইলায় চাহিদামতো ক্ষতিপূরণ পায়নি রাজ্য। ২০১৫ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য ২৩ হাজার কোটি টাকা চাইলে কেন্দ্র দিয়েছে মাত্র ১১০০ কোটি টাকা। তবে গত শনিবার সন্ধ্যায় বুলবুল আছড়ে পড়ার পর রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। বিধ্বস্ত এলাকার জন্য সবরকম সাহায্য করবেন বলে তাঁরা আশ্বাস দেন। তাই আশাবাদী নবান্ন। এখন দেখার কেন্দ্রীয় সরকার কতটা পাশে দাঁড়ায়।