কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, নর্মাল সেকশনের শিক্ষকদের উচ্চ প্রাথমিকে আনতে গিয়ে বিষয়ই পাল্টে দিতে হচ্ছে তাঁদের। আর এর জন্য প্রধান শিক্ষকদেরই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই প্রয়োজন মতো শিক্ষকদের নিজস্ব বিষয় পরিবর্তন করছেন। ধরা যাক, কারও বিষয় ইতিহাস। তিনি এতদিন স্কুলে ইতিহাসের ক্লাসই নিয়ে এসেছেন। কিন্তু ওয়েব এনাবেলড স্টাফ প্যাটার্ন মানতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, উচ্চ প্রাথমিকে আরও ইতিহাসের শিক্ষক চলে আসছেন। ফলে বাকিদের পাশ কোর্সের কোনও বিষয়, ধরা যাক বাংলার শিক্ষক হিসেবে নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, এটা নিয়ে সব জায়গায় দরবার করে কোনও সদুত্তর মিলছে না। আপাতত কী সমস্যা হবে, তা বিস্তারিত বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু বদলির সুযোগ পাওয়া নিয়ে জটিলতা থেকে যাবে বলে আমাদের আশঙ্কা। কারণ, ওই শিক্ষক বদলি চাওয়ার সময় কোন বিষয়ের উল্লেখ করবেন, সেটা স্পষ্ট করে কেউ বলতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, নর্মাল সেকশন থেকে উচ্চ প্রাথমিকে আসা কোনও শিক্ষক বদলির আবেদনের সময় কোন ক্যাটিগরি উল্লেখ করবেন, তাও কেউ বলতে পারছেন না। সরকার এই বিষয়গুলি পরিষ্কার করলে সুবিধা হয়। তবে, সরকার এখন ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালটি আপডেট করাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। শিক্ষকদের বলা হচ্ছে, ওটার কাজ আগে কোনওভাবে মিটিয়ে এদিকে নজর দেওয়া হবে। অনিমেষবাবুর বক্তব্য, রাজ্য সরকার শিক্ষকদের স্বার্থেই যখন এই স্টাফ প্যাটার্ন করছে, তখন তা তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে নিলেই ভালো হতো। সেটা আগে করা হলে বাস্তব সমস্যাগুলি বুঝতে সুবিধা হতো আধিকারিকদেরও।