কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মূলত প্রশাসনকে তৃণমূলস্তরে পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ বলে প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন। এতদিন ব্লকস্তরের পর্যালোচনা বৈঠক ব্লক অফিসে করা হত। সেখানে কোনও কোনও সময় জেলাশাসক হাজির থাকলেও তিনি না যেতে পারলে অতিরিক্ত জেলাশাসকরা থাকতেন। এবার ব্লক অফিসে বসে ওই বৈঠক করা যাবে না বলেই রাজ্য প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ওই বৈঠক করতে হবে। প্রতিটি ব্লকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে এই বৈঠক করতে হবে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন ব্লকস্তরের পর্যালোচনা বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের অফিসাররা ওই ব্লকের কাজকর্মের খতিয়ান পেশ করতেন। কিন্তু, দেখা গিয়েছে ওই হিসেবের সঙ্গে বাস্তবের মিল অনেক সময় পাওয়া যায়নি। তাই পঞ্চায়েতস্তরে অফিসারদের পৌঁছে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতে গিয়ে অফিসাররা বৈঠকের আগে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজকর্ম খতিয়ে দেখবেন। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন মানুষের কাছে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনবেন। তারপর বৈঠকে তা নিয়েই আলোচনা হবে।
সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে কি না, তা জেলা প্রশাসনের অফিসারদের দেখতে হবে। মূলত কৃষি, খাদ্য, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অফিসারদের এই ব্যাপারে আরও উদ্যোগী হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, গ্রামাঞ্চলে ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি নিয়ে এখনও মানুষের ক্ষোভ আছে। গ্রামের ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে যাতে কার্ড পৌঁছে যায়, তা খাদ্য দপ্তরের অফিসারদের নিশ্চিত করতে হবে। সেই কারণেই জেলা প্রশাসনের অফিসাররা গ্রামাঞ্চলে গিয়ে মানুষের অভিজ্ঞতা শুনবেন। তারপর তার রিপোর্ট নবান্নে দেওয়া হবে। রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা এই বিষয়টি নজরদারি চালাবেন।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প চালু হলেও তার সব সুবিধা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না বলেই বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, প্রকল্পের রূপায়ণে বেনিয়মও অনেক সময় ধরা পড়েছে। প্রকৃত মানুষকে বাদ দিয়ে অন্যদের সুবিধা প্রদান করার অভিযোগও রয়েছে। সেই কারণেই এবার জেলাস্তরের অফিসারদের গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে নবান্ন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জেলাশাসকরা ব্লক অফিসে গিয়ে বৈঠক শুরু করেছিলেন। কিন্তু, এখন আর ব্লক অফিসে বসে এই বৈঠক করা যাবে না। এবার পঞ্চায়েতস্তরে যে বৈঠক হবে, সেখানে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের হাজির থাকতেই হবে। তবে জেলাশাসক অন্য কোনও কাজে ব্যস্ত থাকলে অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার অফিসারদের সেখানে হাজির হতে হবে। সমস্ত কাজকর্মের হিসেব তাঁদের নিতে হবে। বাস্তবের সঙ্গে জমা পড়া রিপোর্টের মিলও খুঁজে বের করতে হবে। যদি বাস্তবের সঙ্গে জমা পড়া রিপোর্টের মিল না থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে তার জবাবদিহি চাওয়া হবে। একই সঙ্গে গ্রামের মানুষের অভিজ্ঞতাও তাঁদের শুনতে হবে। তার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।