কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী নদীয়ার হাটগুলি থেকে কলকাতার পাইকারি বাজারে সব্জি আনা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন এর জন্য ২৫টি গাড়ি দিচ্ছে। ওই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাব বেশি না পড়ায় সব্জির বিশেষ ক্ষতি হয়নি। ক্ষতি বেশি হয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়। টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে ক্ষতি না হওয়া এলাকা থেকে সব্জি নিয়ে আসার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়েক মাস আগেও নদীয়ার বাদকুল্লা, তাহেরপুর থেকে লোকাল ট্রেনে সব্জি নিয়ে আসতেন চাষিরা। কিন্তু দুপুর নাগাদ যে দু’টি ট্রেনে সব্জি আনা হতো, তার স্টপেজ বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েন চাষিরা। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই এই গাড়ির ব্যবস্থা। লোকাল ট্রেনের সুবিধা যাতে চাষিরা ফের পান, তার জন্য রেল মন্ত্রকের সঙ্গে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা যোগাযোগ করবেন বলেও ঠিক হয়েছে।
পাইকারি বাজারে সব্জির দাম এদিন অল্প হলেও কমেছে। কিন্তু পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরো বাজারে সব্জির দাম অত্যধিক বেশি নেওয়া হয়, এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট শাখার পুলিসকে নিয়ে অভিযানের সময় পাইকারি বাজারে সব্জির দাম কত আছে, তার তালিকা তাঁদের সঙ্গে ছিল। পাইকারি বাজারের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিক্রি করতে বলা হয় বিক্রেতাদের। অস্বাভাবিক বেশি দামে সব্জি বিক্রি করতে দেখলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। এদিন কাঁকুড়গাছি বাজারে এ নিয়ে এক বিক্রেতার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এনফোর্সমেন্ট পুলিসের। ওই বিক্রেতা ৮০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করছিলেন। যেখানে কিছু দূরে একজন একই মানের বেগুন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছিলেন। ওই বিক্রেতার দাবি, তিনি যে দামে কিনেছেন, তার ভিত্তিতে বিক্রি করবেন। এই যুক্তি মানেনি পুলিস। এদিন উল্টোডাঙা, বেলেঘাটা, নারকেলডাঙা এলাকার কয়েকটি বাজারে হানা দেওয়া হয়। এই অভিযান আপাতত চলবে। সব্জির বাজারদর বাড়ার আরও একটি কারণ বৃহস্পতিবার টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে উঠেছিল। শহরে ঢোকা সব্জি, মাছ, প্রভৃতির গাড়ি থেকে পুলিস চড়া হারে জরিমানা আদায় করছে বলে বৈঠকে জানান কমলবাবু। এটা বন্ধ করতে বৈঠকেই নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, কয়েকদিনের মধ্যে সিঙ্গুরের কৃষক বাজার থেকে সরকারি উদ্যোগে আলু এনে সুফল বাংলার স্টলে সরবরাহ করা হবে। ১৫ টাকা কেজি দরে ব্যবসায়ীরা আলু দিতে রাজি হয়েছেন। পেঁয়াজ সরবরাহ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা নাফেডের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে সরকারি পর্যায়ে।