কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী ডিসেম্বরে রাজ্য বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশন বসবে। সহায় কমিশনের রিপোর্ট এখন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সরকারি প্রেসে ছাপানোর কাজ চলছে। তথ্য কমিশনের সামনে সরকারের দেওয়া ইঙ্গিত বা আবেদনকারীকে পাঠানো চিঠির বক্তব্য কার্যকর করলে আগামী মাসেই গুমনামিবাবা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলা বিচারবিভাগীয় কমিশনের চূড়ান্ত রায় জানা যাবে। আটের দশকে ফৈজাবাদের রামভবনে বছর কয়েক অন্তরালে থাকা গুমনামি বাবা তথা ওই বিতর্কিত সাধু চরিত্রই নেতাজি সুভাষ ছিলেন কি না, তা ওই কমিশনের তদন্তে রিপোর্টে নির্দিষ্টভাবে থাকার কথা। কারণ, এই রহস্য বা বিতর্কের অবসানে বিভিন্ন মানুষ ও সংগঠনের দাবিকে মর্যাদা দিতে পূর্বতন অখিলেশ যাদবের সরকার বিচারপতি বিষ্ণু সহায়ের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল। বছর দুয়েক আগে সেই রিপোর্ট জমা পড়লেও তা অখিলেশ বা বর্তমান বিজেপি সরকার এতদিন প্রকাশ্যে আনেনি। এবার সম্ভবত সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। যদিও বেসরকারিভাবে অনেকেই ইতিমধ্যে বলতে শুরু করেছে, সহায় কমিশনও নাকি অনেক তদন্ত চালিয়েও গুমনামি বাবাই নেতাজি ছিলেন কি না, সে ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। যদিও এই দাবি বা গুঞ্জনের কোনও সত্যাসত্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
২০০৫ সাল থেকে চালু হওয়া তথ্য জানার আইন (আরটিআই অ্যাক্ট) মোতাবেক যোগী আদিত্যনাথ সরকারের কাছে সহায় কমিশনের রিপোর্টের কপি চেয়ে গত বছর আগস্টে আবেদন করেন কলকাতার বাসিন্দা তথা ‘মিশন নেতাজি’র একনিষ্ঠ তরুণ কর্মী সায়ক সেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সহায়ের নেতৃত্বের গঠিত ওই কমিশনে উত্তরপ্রদেশ ও অন্যান্য অনেক রাজ্যের মানুষ সাক্ষ্য দিয়েছেন। নেতাজির পরিবারের কয়েকজন সদস্যও তার মধ্যে রয়েছেন। এমনকী, ডিএনএ টেস্টের জন্য তাঁদের কয়েকজনের রক্তের নমুনাও কমিশন সংগ্রহ করেছিল গুমনামি বাবার তথাকথিত দাঁতের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে। বছর দুয়েক ধরে তদন্ত চালানোর পর কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা পড়ার পরও তা প্রকাশ্যে না আসায় সায়করা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি রিপোর্ট জনসমক্ষে না আসার কারণে গুমনামি বাবাকে কেন্দ্র করে সত্যমিথ্যা নানা ধরনের গুজবও বাজারে চাউর হয়। এসবের অবসানের লক্ষ্যে সায়কের করা আবেদনে সরকারপক্ষ প্রথমে সরাসরি কোনও উত্তর দেয়নি। শেষ পর্যন্ত এবছর ফেব্রুয়ারিতে সায়ক তথ্য কমিশনে মামলা রুজু করেন সরকারের বিরুদ্ধে। আগস্ট ও অক্টোবরে দুটি শুনানির দিনেও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর তথা প্রশাসনের তরফে কেউ হাজির হননি। ওই দুটি শুনানিতে কমিশন সায়ককে তাঁর জানানো আবেদনের জবাব দু’সপ্তাহের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তাতেও কোনও সাড়াশব্দ না করলেও শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবারের শুনানিতে সরকারের সূচনা আধিকারিক হাজির হয়ে সহায় কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে রাজ্য সরকারের আসন্ন পদক্ষেপের কথা খোলসা করেন। সায়ককে স্পিডপোস্টে পাঠানো জবাবের কপিও তিনি তথ্য কমিশনারের সামনে পেশ করে জানান যে, গুমনামি বাবা সংক্রান্ত বিতর্কের অবসানে গঠিত সহায় কমিশনের রিপোর্ট রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনক্রমে বিধানসভায় পেশ করে প্রকাশ্যে আনা হবে। সেজন্য ওই রিপোর্ট এখন সরকারি প্রেসে ছাপানোর কাজ চলছে। শুক্রবার সায়ক বলেন, একটা লড়াইয়ের শেষ হয়তো হতে চলেছে। তবে ডিসেম্বরের অধিবেশনে রিপোর্ট পেশ করা হলে আমি আদালত অবমাননার অভিযোগ আনব আদিত্যনাথ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।