কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
চলতি মাসের ১১ তারিখ এসটিএফ বিকাশকুমার দাস নামে এক জাল নোটের কারবারিকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় নকল নোট। ধৃতকে জেরা করে জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে আসছে জাল নোট। তবে এ রাজ্য থেকে সীমান্তের ওপারে যারা জাল নোট আনতে যেত, তাদের সংখ্যা কমছে। আসলে বিএসএফের কড়াকড়িতে সেখানে গিয়ে জাল নোট নিয়ে আসতে সমস্যা হচ্ছে। এমনকী কাঁটাতারের বেড়া টপকে ওপার থেকে জাল নোট ফেলে দেওয়াও প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। তাই নতুন কৌশল নিয়েছে জাল নোটের কারবারে যুক্ত মাথারা। এরজন্য ব্যবহার করা হচ্ছে সীমান্তের ওপারে পণ্য নিয়ে যাওয়া ট্রাক বা লরিকে। তাদের চালকের মাধ্যমে তা নিয়ে আসা হচ্ছে এখানে। এরজন্য ভালো টাকার কমিশনও দেওয়া হচ্ছে। মাল খালাস করে ফেরার সময় তাদের হাতে জাল টাকা তুলে দিচ্ছে বাংলাদেশের নোট কারবারিরা। চালকের কেবিনেই তা রাখা হচ্ছে। মালদহ থেকে বাংলাদেশে যাওয়া ট্রাকেই জাল নোট বেশি আসছে। মালিক ও চালক মালদহের হওয়ায় সুবিধা পাচ্ছে জাল নোটের ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তিরা। অভিযুক্ত বিকাশের কাছ থেকে কয়েকটি লরি ও ট্রাকের নম্বর পান তদন্তকারী অফিসাররা। জানা যায়, এগুলিতে করে নিয়মিত সীমান্তের ওপার থেকে জাল নোট আসছে।
এরপরই ওই ট্রাকগুলি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন এসটিএফের অফিসাররা। জানা যায়, একটি ট্রাক বাংলাদেশে গিয়েছে পণ্য নিয়ে। খালাস করে সেটি বৃহস্পতিবার ফিরবে। তাতে থাকবে জাল নোট। সেইমতো মালদহের মেহেদিপুর সীমান্তে চলে যান তাঁরা। বিএসএফকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। এই সময় একটি লরিকে আটকানো হয়। দেখা যায়, তাঁদের কাছে থাকা নম্বর প্লেটের সঙ্গে আটক করা গাড়ির প্লেটের মিল রয়েছে। এরপরই গাড়িতে উঠে তল্লাশি শুরু হয়। কেবিন খুলতেই দেখা যায়, সেখানে লুকিয়ে রাখা রয়েছে ১২ লক্ষ টাকার নকল নোট। চালককে জেরা করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারেন, এই টাকা বাংলাদেশের এক কারবারি তাকে দেয়। মালদহে তা নিয়ে আসা হচ্ছিল। এর আগেও সে একাধিকবার জাল টাকা নিয়ে এসেছে রাজ্যে। বাংলাদেশে নকল নোট কারবারে যুক্ত একাধিক ব্যবসায়ীকে সে চেনে। তার কাছ থেকে সেখানকার কারবারিদের নাম জেনেছেন অফিসাররা। এদের সম্পর্কে খোঁজখবর চালানো হচ্ছে।