কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
আজ শুক্রবার ভোর ৫টায় রাজ্যপালের ফারাক্কায় যাওয়ার কথা। সেখান থেকে বীরভূমের সিউড়ি, বর্ধমান হয়ে রাত ১০টা নাগাদ রাজভবনে ফেরার কথা সস্ত্রীক রাজ্যপালের। একদিনে প্রায় ৬০০ কিমি পথ অতিক্রমের জন্য রাজভবন থেকে রাজ্য প্রশাসনের কাছে হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিল। রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতেই এই দাবি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে হেলিকপ্টার চেয়ে চিঠি দেওয়া হলেও তার উত্তর মেলেনি। এমনকী রাজভবন থেকে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি দেওয়া হলেও তাঁর তরফেও কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।
নবান্ন ও রাজভবনের সংঘাত নিত্যনতুন মাত্রা পাচ্ছে। এদিন যেভাবে রাজভবন থেকে সরকারিভাবে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে নিশানা করা হয়েছে, তা বিরল ঘটনা। তাঁর আচরণকে ইতিমধ্যেই তৃণমূল রাজনৈতিক নেতৃত্ব সুলভ বলে দাবি করেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তাঁকে বিজেপির প্রতিনিধি বলে ইঙ্গিত করেছেন। এদিন তাঁর করা অভিযোগের জবাবে মন্ত্রী চন্দ্রিমা কটাক্ষের সুরে বলেন, রাজ্যপাল হয়েও তিনি প্রতিদিন রাজনৈতিক বাজার করে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টারে করে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন। এখন তিনি গিয়ে কী করবেন? প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্রিমা। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল নির্দিষ্টভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কথায় চলছেন। ওই দলের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এটা অসাংবিধানিক বলেই মনে করেন চন্দ্রিমা।
তবে শুধু হেলিকপ্টার ইস্যু নয়, এদিন শিশু দিবস উপলক্ষে পার্ক স্ট্রিট সংলগ্ন এলাকায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। সেখানেও তিনি পরোক্ষে রাজ্যকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, শিশুদের বিকাশে শিক্ষকের ভূমিকা রয়েছে। অথচ প্রাপ্য আদায়ে শিক্ষকদের আন্দোলন-বিক্ষোভে শামিল হতে হবে কেন, এটা হওয়া মোটেই কাম্য নয়। কলকাতায় শিক্ষকদের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে পুলিসের ভূমিকার জের টেনে এদিন রাজ্যপাল বলেন, এই ধরনের ঘটনা তাঁকে ব্যথিত করেছে। উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যপালের এই কর্মসূচিতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও উপস্থিত ছিলেন।