গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বুধবার সন্ধ্যায় আলিমুদ্দিনে বৈঠক ছিল রাজ্য বামফ্রন্ট ও তার সহযোগী কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। সেই বৈঠকেই ৬ ডিসেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, ওইদিন বিকেলে ধর্মতলা থেকে রাজাবাজার পর্যন্ত ওই মিছিল হবে। মিছিল শেষে রাজাবাজারেই হবে জনসভা। মিছিলে সব দলকেই যথাসম্ভব লোক আনার নিদান দেওয়া হয়। যদিও সেই সময় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের আহ্বানে চিত্তরঞ্জন থেকে কলকাতামুখী ২৮৩ কিলোমিটার লং মার্চ কর্মসূচি মাঝপথে থাকার কথা। তাই কলকাতা, হাওড়া ও দুই ২৪ পরগনা থেকেই মূলত সমর্থকদের জড়ো করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বাবরি মসজিদকাণ্ড নিয়ে রে রে করে রাজনীতি করার ব্যাপারে এবার যথেষ্ট সাবধানী পদক্ষেপ নিতে চলেছে বামেরা। তাই রায় নিয়ে যাতে সব শরিক দল একসুরে কথা বলে, সেজন্য নেতৃত্ব অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। মূলত এই রায়ে দেশের এক বড় অংশের মানুষ সন্তুষ্ট নয় এবং তাদের মধ্যে এব্যাপারে কিছু প্রশ্ন রয়েছে— এই বিষয়কে সামনে রেখেই প্রচার চালানোর পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, বিগত বছরগুলির মতো এবার ওই দিনটি ‘কালাদিবস’ হিসেবেও আর ঘোষণা করবে না তারা। তবে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা ফৌজদারি অপরাধ— শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতেই তারা দোষীদের শাস্তির দাবিকে এবার প্রচারে অগ্রাধিকার দেবে বলে ঠিক করেছে। উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে লং মার্চ এবং আগামী ৮ জানুয়ারি সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটের পক্ষেও জোরদার প্রচার চালানোর জন্য সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।