বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কয়েক মাস আগে, প্রথম পর্যায়ে অর্থ দপ্তর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে কর্মীদের সার্ভিস বুক আপডেট করার নির্দেশ দিয়েছিল। আপডেট করে তা স্ক্যান করতে বলা হয়। কিন্তু এই কাজ অনেক দপ্তরেই খুব ধীরগতিতে চলছিল। ফলে ই-সার্ভিস বুক কবে চালু হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিটি হল সার্ভিস বুক। এতে চাকরিতে যোগদানের সময় থেকে গোটা চাকরি জীবনের সব তথ্য ও পরিসংখ্যাান থাকে। কর্মী-আধিকারিকদের চাকরি জীবনের সময়ে বেতনক্রম, পদোন্নতি, ছুটি থেকে শুরু করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ— সবকিছু এতে নথিভুক্ত থাকে। অবসরগ্রহণের সময়ও সার্ভিস বুক থেকে নির্ধারিত হয়। সার্ভিস বুক যাচাই করেই অবসরের পর পেনশন নির্ধারণ করা হয়। সার্ভিস বুকে গোলমাল হলে পেনশন আটকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতেও বলা হয়েছে, সার্ভিস বুক ঠিকমতো আপডেট না হওয়া, হারিয়ে যাওয়া, নষ্ট হওয়া বা ভুল তথ্য নথিভুক্ত হওয়ার কারণে কর্মী ও আধিকারিকদের সমস্যায় পড়তে হয়। এজন্য অবসরকালীন প্রাপ্য পেতেও কখনও দেরি হয়। এই কারণে অনলাইনে সার্ভিস বুক চালু করা হচ্ছে। এখন সার্ভিস বুক লিখিতভাবে পুস্তিকা আকারে অফিসে রাখা থাকে। মূল কপিটি অফিসে রাখা থাকে। কর্মী ও আধিকারিকরা সার্ভিস বুকের প্রতিলিপি রাখতে পারেন। কিন্তু অনেকের কাছে তা থাকে না।
কীভাবে কোনও কর্মী ও আধিকারিক তাঁর সার্ভিস বুকটি অনলাইনে নিয়ে গিয়ে ই-সার্ভিস বুক করবেন, সেটাও অর্থ দপ্তর জানিয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ তাঁদের সার্ভিস বুকের প্রতিলিপি দেবে। এইচআরএমএস পোর্টলে ইতিমধ্যে স্ক্যান সার্ভিস বুক দেওয়া হলে সেখান থেকেও এটি পাওয়া যেতে পারে। সেটা দেখে কর্মী বা আধিকারিককে এইচআরএমএস পোর্টালের ই-সার্ভিস বুক অংশে নথিভুক্ত করতে হবে।
কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে কর্মিমহলের আশঙ্কা আছে। কর্তৃপক্ষেরই পুরো দায়িত্ব নিয়ে ই-সার্ভিস বুক তৈরি করা ঠিক ছিল বলে মনে করেন তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কর্মীদের একটা বড় অংশ অনলাইনে তথ্য নথিভুক্ত করতে পারবেন না। এটা করতে গিয়ে অফিসের কাজকর্ম ব্যাহত হতে পারে।