গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সূত্রের খবর, রাজ্যপাল বা তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনকারের নিরাপত্তার প্রাথমিক দায়িত্ব সিআরপিএফ নিলেও কলকাতা বা রাজ্য পুলিস তাঁর কর্মসূচিতে বা রাজভবন চত্বরে যথারীতি মোতায়েন থাকছে। এমনকী, রাজ্যপালের কনভয়ের দায়িত্ব তাদের হাতেই রয়েছে। সিআরপিএফ দায়িত্ব নিলেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে সিআরপিএফ এভাবে রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বেজায় ক্ষুব্ধ। রাজ্য সরকারের তরফে যথেষ্ট বন্দোবস্ত করা সত্ত্বেও কেন নজিরবিহীনভাবে রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় কোনও এজেন্সিকে দেওয়া হচ্ছে, মূলত তা নিয়েই প্রশ্ন তোলে নবান্ন। কিন্তু রাজ্যের ক্ষোভ বা আপত্তিকে তেমন আমল দেয়নি দিল্লি। শেষ পর্যন্ত গত শনিবার সিআরপিএফ এবং কলকাতা পুলিসের আধিকারিকদের মধ্যে একটি বৈঠকে ধনকারের নিরাপত্তায় সিআরপিএফ নিয়োগের বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা হয়। সেদিনই ঠিক হয়, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যপাল ও তাঁর স্ত্রী যেখানেই যাবেন, সেখানে তাঁদের ঘিরে যে প্রাথমিক নিরাপত্তা বলয় তৈরি হবে, তার দায়িত্ব সিআরপিএফ নেবে। এই কারণে রাজ্যপালের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসার বা পিএসও হবেন এই বাহিনী থেকেই। পাশাপাশি কনভয়ে রাজ্যপালের ঠিক পরেই সিআরপিএফ জওয়ানদের গাড়ি থাকবে।
সস্ত্রীক ধনকারের ‘ক্লোজ প্রক্সিমিটি’র নিরাপত্তার ভার তাদের কাঁধে পড়ায় সিআরপিএফ এদিন থেকেই আসরে নামে। সোমবার তাদের আধিকারিকরা রাজভবনে গিয়ে সরেজমিনে সব কিছু দেখে আসেন। রাজ্যপালের সচিবালয়ের অফিসারদের সঙ্গে আলোচনাও করেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়ে দেন, মোট তিনটি শিফটে অন্তত ন’জন করে অফিসার-জওয়ান এই দায়িত্বে থাকবেন। এই কারণে রাতেও রাজভবনে রাজ্যপালের কোয়ার্টারের বাইরে তারা মোতায়েন থাকবে। এরপর মঙ্গলবার সকালে সিআরপিএফের জওয়ানরা রাজভবনে এসে তাদের দায়িত্ব বুঝে নেয়। রাজ্যপাল এদিন বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ রাজভবন থেকে বের হন। প্রথমে সল্টলেকের সাই কমপ্লেক্সে আয়োজিত বেটন কাপ হকি টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে যান। সেখান থেকে সস্ত্রীক ধনকার যান ডানলপে গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মদিবসের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তারপর যান নদীয়ার শান্তিপুরে। সেখানে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বংশধরদের উদ্যোগে শুরু হওয়া রাসমেলার উদ্বোধন করেন তিনি। এই তিনটি কর্মসূচিতেই রাজ্যপাল ও তাঁর স্ত্রীর নিরাপত্তার ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায় সিআরপিএফ কর্মীদের। যদিও প্রাথমিক বলয়ের বাইরে স্থানীয় পুলিসও মোতায়েন ছিল সর্বত্র। কনভয়ের অন্যান্য গাড়িতেও ছিল কলকাতা পুলিসের লোকজন।