বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অনলাইনে সাধারণ মানুষের কাছে অনুদান বা প্রাপ্য টাকা পৌঁছে দিতে রাজ্য অর্থদপ্তর ২০১৪ সাল থেকে ইন্টিগ্রেটেড ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাহায্য নেয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ই-কুবেরের সঙ্গে একযোগে ওই সুযোগ দেয় তারা। যাঁরা সরকারের থেকে টাকা পান, তাঁদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রাপ্য টাকা চলে আসে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। এরাজ্যে বহু গ্রাম আছে, যেখানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নেই। আবার ব্যাঙ্ক থাকলেও, তা লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের নাগালে নেই। তা নিয়েই মাথাব্যথা ছিল রাজ্য সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকার ডাক বিভাগের মাধ্যমে আইপিপিবি চালু করার পর, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। কারণ, এই পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, ডাককর্মী, বলা ভালো পোস্টম্যানরাই এই ব্যাঙ্কের লেনদেনে মূল ভূমিকা পালন করেন। এরাজ্যে প্রায় ১০ হাজার পোস্ট অফিস আছে। তাই ব্যাঙ্ক না থাকলেও, সাধারণ মানুষের নাগালে সেই ডাকঘরগুলি থাকে। যে কোনও ডাকঘর থেকে আইপিপিবি’র অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এই অ্যাকাউন্টের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, গ্রাহক চাইলে বাড়িতে বসেই লেনদেন করতে পারবেন। টাকা তোলা বা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে যে কোনও লেনদেন বাড়ি এসে পোস্টম্যান করে দিয়ে যান। রাজ্য সরকার সেই সুযোগটি গ্রাহকদের করে দিতে আইপিপিবি’কে কাজে লাগাতে চুক্তি করেছে।
ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, গ্রাহকের কাছে পৌঁছনোর জন্য আমাদের যে বিস্তৃত পরিকাঠামো আছে, তাকে কাজে লাগাতে আগ্রহ দেখিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ফলস্বরূপ সাধারণ মানুষকে সরাসরি আর্থিক সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে আইপিপিবি’কেও তালিকাভুক্ত করেছে তারা। যেহেতু এখানে ডাককর্মীরা বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে লেনদেন করে আসেন, তাই সরকারি অনুদান প্রাপকরা চাইলে পোস্ট অফিসে না এসে ঘরে বসেই লেনদেন করতে পারবেন। এতে গ্রাহকের সময় ও পরিশ্রম বাঁচবে। সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন বয়স্করা।
যেহেতু আইপিপিবি একটি পেমেন্টস ব্যাঙ্ক, তাই এক লক্ষ টাকার বেশি জমা করার অধিকার তাকে দেয়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাহলে উপায়? ডাক বিভাগের কলকাতা সার্কেলের পোস্টমাস্টার জেনারেল অমিতাভ সিং বলেন, যেহেতু এই অ্যাকাউন্টে এক লক্ষ টাকার বেশি রাখা যায় না, তাই এক লক্ষের বাড়তি অঙ্ক সরাসরি চলে যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্টে। কিন্তু যদি আইপিপিবি গ্রাহকের পোস্ট অফিসে কোনও সেভিংস অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে? সেক্ষেত্রে অবশ্য গোটা লেনদেনটাই বাতিল হয়ে যাবে, জানিয়েছেন এখানকার কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, পোস্টাল সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে নেওয়া একেবারে ঝঞ্ঝাটহীন। তাতে গ্রাহক নানাভাবে উপকৃত হবেন। ফলে তা খুলে নেওয়াই ভালো। প্রশ্ন হল, সরকারি কী কী আর্থিক সুবিধা আইপিপিবি’র মাধ্যমে পেতে পারবেন সাধারণ মানুষ? অর্থ দপ্তর থেকে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্র বাদ দিয়ে যে কোনও প্রাপ্য বা অনুদান পেতে পারেন সাধারণ মানুষ। তবে তা অবশ্যই ইন্টিগ্রেটেড ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছতে হবে।