পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটে বাংলায় ২২টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। কিন্তু আসনের সংখ্যা দিয়ে তার লড়াকু আন্দোলনের পরিমাপ করা যাবে না। এদিন তাঁর বক্তব্যে সেটাই স্পষ্ট করে দিলেন অভিষেক। তাঁর দাবি, হতে পারে সংসদে ৩০২ আসন বিজেপির। কিন্তু বাংলার প্রাপ্য মর্যাদা রক্ষায় দিল্লিতে তৃণমূলের ২২ জনই যথেষ্ট। জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেইন)-এর প্রশ্নপত্রকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই পরীক্ষার পরিচালক সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, ইংরেজির সঙ্গে হিন্দি ও গুজরাতি ভাষায় প্রশ্নপত্র করা হবে। আগামী বছরের পরীক্ষা থেকে তা শুরু হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থার সেই সিদ্ধান্ত বাংলা সহ আঞ্চলিক ভাষাগুলির প্রতি বৈষম্যমুলক বলে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। দলের বিগত ওয়ার্কিং কমিটির বর্ধিত অধিবেশেন তিনি প্রশ্নপত্র বাংলায় চালুর দাবিতে আন্দোলনে নামতে বলেছিলেন। তাঁর নির্দেশেই এদিন যুব নেতা অভিষেক এই বিক্ষোভ সভার আয়োজন করেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দু’জনেই গুজরাতের বাসিন্দা। স্বভাবতই, জয়েন্ট এন্ট্রান্সে আঞ্চলিক ভাষার মধ্যে কেবলমাত্র গুজরাতির অন্তর্ভুক্তি ভাষা বৈষম্যের অভিযোগে বাড়তি মাত্রা দিয়েছে। এদিন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায়, সাধন পাণ্ডে, ফিরহাদ হাকিম থেকে কলকাতার মেয়র পারিষদ বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের কথায় ঘুরেফিরে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। অভিষেক সহ সবারই ব্যাখ্যা, বাংলাকে অমর্যাদা করতেই এই চক্রান্ত করা হচ্ছে।
বাংলা ভাষার জন্য রাজ্য প্রশাসন কোনও আবেদন জানায়নি। কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, সর্বশেষ গত ৭ নভেম্বর ফের চিঠি দিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। আগেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি কেন্দ্র। অথচ হিন্দির সঙ্গে গুজরাতি ভাষায় প্রশ্নপত্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স কর্তৃপক্ষ। রাজ্য কিছু জানায়নি, কেন্দ্রের এই অভিযোগ মানতে রাজি নন অভিষেক। তিনি বলেন, দার্জিলিংয়ে যখন কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র, তখন তো রাজ্যের অনুমতির কথা তাদের মনে পড়েনি। তাহলে হঠাৎ একটি বিশেষ ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হল কেন? অথচ অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাকে বাদ দেওয়া হল। বিশেষ করে হিন্দির পর দেশে সব থেকে বেশি মানুষ বাংলায় কথা বলে, সেই ভাষাকেই গুরুত্ব দেওয়া হল না। তৃণমূলের মতে, সবটাই কেন্দ্রের শাসক দলের বাংলা বিরোধী ষড়যন্ত্রের অঙ্গ। অভিষেক বলেন, বিজেপি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল, তারা আসলে বাংলাকে ভয় পায়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁরা আবেদন, তিনি রাজ্যের প্রশাসন দেখুন, বিজেপিকে রাজনীতির ময়দানে তৃণমূলের ছাত্র-যুবরাই মোকাবিলা করতে পারবে। পাশাপাশি বাংলায় প্রশ্নপত্র চালুর দাবি তাঁরা সংসদেও লড়াই করে আদায় করবেন বলে জানান তৃণমূলের যুব নেতা।
দেশের অর্থনীতি থেকে এনআরসি— সব বিষয়েই এদিন কেন্দ্র বিরোধী তোপ দেগেছেন অভিষেক। বাংলাকে আঘাত করতেই অসমে এনআরসিতে বাদ পড়া ১৯ লক্ষ মানুষের সিংহভাগই বাঙালি এবং হিন্দু। বিজেপির আমলে ব্যাঙ্কে টাকা রাখাও নিরাপদ নয়। নাম না করে মোদিকে কটাক্ষে বিঁধেছেন অভিষেক। তাঁর দাবি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির অবস্থা খারাপ। টাকা বাড়িতে রাখলে চোরের ভয়। আবার ব্যাঙ্কে রাখলে চৌকিদারের ভয়। সাধারণ মানুষের টাকাও আজ নিরাপদ নয়।