বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বুলবুলের ধাক্কা কাটানোর পর এদিনই প্রথম সরকারি অফিস খোলে। তবে রবিবারই নিজের দপ্তর ও বিদ্যুৎ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার কর্তাদের তিনি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরির প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দেন। সেই মতো ওইদিন থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে বিদ্যুৎকর্মীরা ময়দানে নেমে পড়েন। সোমবার মন্ত্রী দাবি করেছেন, কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও সন্দেশখালির কিছু অংশ এখনও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ সংযোগ ফের স্থাপিত হয়েছে।
দপ্তরের তৈরি করা প্রাথমিক হিসেব উদ্ধৃত করে শোভনদেববাবু বলেন, বুলবুলের জেরে আমাদের ৪১টি সাবস্টেশন, ৬ হাজার ৭৩৯টি খুঁটি বা পোল এবং ২৪৭টি ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফর্মারের ক্ষতি হয়েছে। কয়েক হাজার মিটার তার উৎপাটিত হয়েছে। এই সব খাতেই ক্ষতি হয়েছে অন্তত সাড়ে আট কোটি টাকা। এছাড়া লো ভোল্টেজ এরিয়া তথা গ্রামাঞ্চলে ছোটখাট বহু যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার হিসেব মেলালে মোট ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তবে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে অর্থ কোনওভাবেই অন্তরায় হবে না। আমাদের সরকার এব্যাপারে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ। যে সব গ্রাহকরা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কাটাচ্ছেন, আগামী দিনে বিলের ক্ষেত্রে তাঁদের কী ধরনের ছাড় দেওয়া যায়, সেটাও আমরা বিবেচনায় রাখব।