কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তবে, যাদবপুরের প্রতিনিধিদের দাবি, এ নিয়ে বিশেষ দরবার করতে হয়নি। তিনি নিজেই এই প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। শুক্রবার শহরে এসে ইউসিজির ভাইস চেয়ারম্যান ভূষণ পটবর্ধন দাবি করেছিলেন, উৎকর্ষ কেন্দ্র নিয়ে যা শর্ত, সবই আবেদনের সময় জানানো হয়েছিল। পরে নতুন শর্ত
আরোপ করা হয়নি। এই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছিল যাদবপুর কর্তৃপক্ষ।
স্ট্যাটিউট নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আট বছর কোনও বিধি সংশোধন হয়নি, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর কাছে বিধি সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র নেই। তিনি সেটা চেয়েও পাননি। যদি তাঁর কাছে সংশোধিত বিধি আসে, তাহলে দু’-তিন দিনের মধ্যেই সেটা ছেড়ে দেবেন। যাদবপুরের প্রতিনিধিরা তাঁক জানিয়েছেন, আইএসএলএম ফ্যাকাল্টিতে কোনও নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি নেই। তাই তারা কোনও ডিগ্রি দেওয়ার অধিকারী নয়।
ইউজিসি নির্ধারিত পে স্কেল নিয়েও নাকি রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে দরবার করার আশ্বাস দিয়েছেন। জুটার প্রতিনিধিদের দাবি, রাজ্য সরকার যে ২০২০ থেকে ইউজিসি নির্ধারিত সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার কথা বলেছে, তাতে বকেয়া হিসেবে একজন অধ্যাপক ২০ লক্ষ এবং সহকারী অধ্যাপকরা প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ধনকার তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, রাজ্য সরকার যদি ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বর্ধিত বেতন দিতে রাজি হয়, তাহলে তিনি নিজে উদ্যোগ নেবেন যাতে কেন্দ্রীয় সরকার ইউজিসিকে সেই বর্ধিত বেতনের ৫০ শতাংশ অর্থ দিতে রাজি হয়।
শুধু যাদবপুরই নয়, শহর এবং রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সমস্যাও রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরেছেন জুটার প্রতিনিধিরা। শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগীয় প্রধানদের টানা দু’বছর রাখা হচ্ছে না। এটা নিয়ম বিরোধী। এই অভিযোগ তাঁরা আচার্যকে জানান। আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অস্থায়ীভাবে হলেও অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই অভূতপূর্ব ঘটনাটিও তাঁরা রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরেন। দক্ষিণবঙ্গের অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও তাঁরা নালিশ জানিয়েছেন।