নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
বিবৃতিতে চন্দ্রিমাদেবী জানিয়েছেন, আয়ুষ্মান ভারতের তুলনায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। নারী সশক্তিকরণের বিষয়টি মাথায় রেখে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কার্ড বাড়ির গৃহকর্ত্রীর নামে প্রদান করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন পরিবারের স্বামী এবং স্ত্রী দু’জনের অভিভাবকরাই। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে কোনও স্মার্টকার্ড নেই। এই প্রকল্পের জন্য একটা প্রিন্ট আউট নিতে হয় কমন সার্ভিসেস সেন্টার থেকে মাথাপিছু ৩০ টাকা দিয়ে। অর্থাৎ পাঁচ সদস্যের পরিবারকে এ বাবদ খরচ করতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের স্মার্টকার্ড বিনামূল্যে পরিবারগুলিকে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে গ্রাহকদের সার্ভার অথেনটিকেশন লাগে। সেখানে স্বাস্থ্যসাথীর স্মার্টকার্ডের চিপ থেকে যাবতীয় তথ্য সহজেই মেলায় ভর্তির সময় কোনও সমস্যা হয় না সুবিধা প্রাপকের। তাছাড়া আয়ুষ্মান ভারত চালু হওয়ার অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন। বিবৃতিতে চন্দ্রিমাদেবী লিখেছেন, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে এ রাজ্য না থাকলেও, স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কোনও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন না, হবেন না। রাজ্য সরকার ১০০ শতাংশ অর্থ প্রদান করে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে। তাছাড়া লাগাতার নজরদারি, প্রকল্পে যুক্ত সব পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, তাদের মূল্যবান মতামত গ্রহণ, সুবিধা প্রাপকদের চিকিৎসা খরচ বাবদ অর্থ প্রদান এবং দ্রুত ক্ষোভ ও সমস্যা মেটানোর মতো কাজ নিয়মিত চলছে। এই গোটা প্রকল্পের কভারেজ এবং অর্থ প্রদান দ্রুত সারতে শক্তপোক্ত আইটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। আর সে কারণেই অন্য রাজ্যকে যখন স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ ও দুর্নীতি সামলাতে হচ্ছে, তখন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে বাংলা চলছে নিশ্চিন্তে।