রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
উচ্চ প্রাথমিক বা শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে কমিশনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছিল, এক্ষেত্রেও অভিযোগ একইরকম। মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় আদালতকে জানান, একটি শূন্যপদ পিছু ১.৪ জন প্রার্থীকে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় ডাকা হয়েছে। ওই কাউন্সেলিং ১১ নভেম্বর থেকে হতে চলেছে। এরজন্য প্যানেলেও গঠিত হয়েছে। কিন্তু, কত শূন্যপদের নিরিখে এই উদ্যোগ নেওয়া হল, তা জানানো হয়নি। রুল অনুযায়ী মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বয়স ৪০ বছর অতিক্রম করলে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসা যাবে না। কমিশনের এই নির্দেশিকা নিয়ে মামলা হয়েছিল। কারণ, ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এক্ষেত্রে কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি। মামলাকারীদের হয়ে আইনজীবী আশিস চৌধুরী আদালতকে বলেন, বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণে এঁদের যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করা হয়নি। অথচ, এঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার ২০১৫ সালে এক নির্দেশিকায় বলেছিল, পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা বয়স পেরিয়ে গেলেও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। সেইসূত্রে ২০১৬ সালেও এসএলএসটিতে তাঁরা আবেদন করেছিলেন। পাশাপাশি তথ্য যাচাই করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও জমা করেছিলেন। কিন্তু, আচমকা কমিশন এই বছরে নয়া নির্দেশিকায় জানায়, ৪০ পেরনো প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসতে পারবেন না। তার জেরে ২০১৮ সালে প্রকাশিত তালিকা থেকে তাঁদের বাদ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ জানুয়ারি আদালত নির্দেশ দেয়, ২০১৫ সালের নির্দেশিকা অনুযায়ী এঁদের প্রার্থীপদ বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু, কমিশন তাঁদের ডাকেনি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই আদালত ওই নোটিস জারি করে।