বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
১৯৩৮ সালের ১৩ জানুয়ারি নবনীতা দেব সেন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য তিনি প্রথমে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। বিদেশে শিক্ষা শেষে কলকাতায় ফিরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের বিভাগীয় প্রধান হন। তিনি ৮০টি’র উপর বই লিখেছেন। যার মধ্যে রয়েছে কবিতা, উপন্যাস, গল্প, ভ্রমণ-সাহিত্য, রস সাহিত্য, শিশুদের জন্য গল্প, আত্মজীবনীমূলক নিবন্ধ সহ অজস্র লেখা। প্রচুর শিশু সাহিত্য অনুবাদও করেছেন। বাংলা এবং ইংরেজি, দুই ভাষাতেই তিনি সাবলীল ছিলেন। ১৯৫৯ সালে তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘প্রথম প্রত্যয়’ প্রকাশিত হয়। ১৯৮০ সালে তাঁর প্রথম ছোটগল্প ‘মনসিউর হুলোড় হলি ডে’ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যগুলির মধ্যে রয়েছে, ‘শব্দ পড়ে টাপুর-টুপুর’, ‘সীতা থেকে শুরু’, ‘প্রবাসে দ্বৈবের বশে’, ‘বামা-বন্দিনী’, ‘নটী নবনীতা’ প্রমুখ। নারী স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করে একের পর এক বই লিখেছেন তিনি। এছাড়াও, নকশাল আন্দোলনের উপর তাঁর প্রখ্যাত গল্পের বই ‘আমি অনুপম’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ সালে। নবনীতা দেব সেন জ্ঞানপীঠ পুরস্কার- সরস্বতী পুরস্কারের মতো উল্লেখযোগ্য পুরস্কার প্রদান কমিটির জুড়ি সদস্য ছিলেন। সদ্য অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বাড়ি ‘ভালো-বাসা’তে এসে দেখাও করে গিয়েছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, শোক অনুভব করছি। পাঠক হিসেবে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল আমাদের। সাহিত্যিক হিসেবে ওঁর যে ব্যাপ্তি, তা বিস্তৃত ছিল নানাক্ষেত্রে। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী শোকপ্রকাশ করে বলেন, নবনীতা দেব সেনের মৃত্যুতে আমাদের দেশ, আমাদের রাজ্যের অপূরণীয় ক্ষতি হল। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।