কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সংস্থা সিএসআইআর-সিবিআরআই (কাউন্সিল অব সায়েন্টিটিফ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ- সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-এর গবেষণা সংস্থা ইতিমধ্যে ভুসি থেকে এরকমই বিকল্প কাঠ তৈরি করে ফেলেছে। সংস্থার এক বিজ্ঞানীর কথায়, চেয়ার-টেবিল থেকে দরজা-জানালা সহ বাড়ির বিভিন্ন জায়গাতেই কাঠের ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে থাকে। আর এই কাঠের জন্য গাছও কাটা হয়ে থাকে। কিন্তু, গাছের কাঠের সমান ক্ষমতাসম্পূর্ণ বিকল্প কাঠ যদি বাজারে থাকে, তাহলে গাছ কাটা অনেক কমে যাবে। প্রকৃতিও সুরক্ষিত থাকবে। এই পরিকল্পনাকে সামনে রেখে কয়েকবছর আগে গবেষণার কাজ শুরু করে সিএসআইআর-সিবিআরআই। সেই গবেষণা থেকেই এই বিকল্প কাঠের সফল উদ্ভাবন। সংস্থার বিজ্ঞানী আশিস পিপলের কথায়, সাধারণ আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করতে যে কাঠ ব্যবহার করা হয়, সেই কাঠের উপযুক্ত বিকল্প এই কৃষিজাত বর্জ্য থেকে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পক্ষ থেকে এই বিকল্প কাঠ তৈরির পন্থাকে একটি কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে। সেই কোম্পানি বিকল্প কাঠ তৈরির কাজ শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই এই বিকল্প কাঠ বাজারে চলে আসবে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ভুসি থেকে এই বিকল্প কাঠ তৈরি করা হলেও, কৃষিজাত আরও বিভিন্ন বর্জ্য থেকে এই কাঠ তৈরি করা সম্ভব। বিশেষ করে ধান গাছের গোড়া বা নাড়া থেকেও এই বিকল্প কাঠ তৈরি সম্ভব বলে তাঁর দাবি। উল্লেখ্য, এই নাড়া পোড়ানোর জেরেই পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ উত্তর ভারত এবং গাঙ্গেয় অববাহিকা এলাকায় বিপুল পরিমাণে বায়ু দূষণের ঘটনা ঘটে এই শীতের সময়। এবছরও এই কারণে দিল্লি সহ দেশের ওই অংশে পরিবেশগত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই নাড়া পোড়ানো বন্ধ করতে বিকল্প রাস্তা খোঁজার কাজ শুরু করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে নাড়া থেকে এবার বিকল্প কাঠ তৈরি করতে চাইছে সিবিআরআই। তবে এবিষয়ে এখনও সম্পূর্ণ গবেষণার কাজ হয়নি। আরও কিছু গবেষণা করতে হবে বলে আশিসবাবু জানিয়েছেন। কলকাতার সায়েন্স সিটিতে ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবে (আইআইএসএফ) হাজির হয়ে তিনি জানান, আশা করা যায়, আগামী বছরের মধ্যেই এবিষয়ে সমাধান সূত্র মিলবে। আইআইএসএফ উপলক্ষে কলকাতায় হাজির হওয়া হরিয়াণার এক আধিকারিক বলেন, এরকম একাধিক বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। নাড়ার বিকল্প ব্যবহার করা সম্ভব হলে, বায়ু দূষণের এই সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।