ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
এবার বর্ষার শুরুতে ধান চাষের অনুকূল পরিস্থিতি ছিল না। চাষ শুরু করার উপযোগী বৃষ্টি জুলাই মাসের শেষ থেকে হয়েছে। এই কারণে ধান চাষ শুরু হতে দেরি হয়েছে। ফলন উঠতেও কিছুটা দেরি হবে। ধান কাটার কাজ নভেম্বরের শেষ নাগাদ শুরু হবে বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
শুরু হতে দেরি হলেও এবার রাজ্যের সব জেলাতেই ধানের ভালো চাষ হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে এবারও ধানের বাম্পার ফলন হবে। কিন্তু একেবারে শেষ সময়ে ঘূর্ণিঝড় দোরগোড়ায় চলে আসায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কৃষি দপ্তরের আবহাওয়াবিদ মৃণাল বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই সময় অল্প বৃষ্টি হলে ধানের বিশেষ ক্ষতি হবে না। কিন্তু ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া পরিণত ধান গাছের পক্ষে খুবই খারাপ। জোরালো হাওয়া দিলে ধান গাছ নুয়ে পড়ে ফলনের ক্ষতি হয়। ভারী বৃষ্টির জল জমিতে জমে থাকলেও ফসলের ক্ষতি হবে। ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রা কতটা থাকে ও কোন কোন এলাকায় তার প্রভাব পড়ে, তার উপর ক্ষতির পরিমাণ নির্ভর করছে।
ভারী বৃষ্টি সব্জির চাষের পক্ষে খুবই খারাপ বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এখন বিভিন্ন ধরনের শীতের সব্জির চাষ চলছে। বৃষ্টিতে সব্জির ক্ষতি হলে বাজারের দামেও তার প্রভাব পড়বে। প্রথম পর্যায়ে ডিসেম্বর মাস থেকে যে নতুন আলু বাজারে আসে, তার চাষ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমানের কিছু অংশে এই আলুর চাষ হয়। সেখানে ভারী বৃষ্টি হলে আলু চাষের ক্ষতি হবে। পরবর্তী দফায় যে নতুন আলু উঠবে, তার চাষও পিছিয়ে যেতে পারে ভারী বৃষ্টির জন্য।