ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
বৈঠকে বিজনেস কনক্লেভ নিয়ে আলোচনা করেন অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি ছাড়াও ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও শিল্পসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডে, রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান বন্দনা যাদব প্রমুখ। এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে বিভিন্ন কনসুলেটের প্রতিনিধিদের কাছে দীঘায় কেন বিজনেস কনক্লেভ, সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে সেই সব দেশের শিল্পসংস্থা ও বণিকসভার প্রতিনিধিদের আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। আগামী ১১ ডিসেম্বর বেলা ১টায় দীঘার কনভেনশন সেন্টারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কনক্লেভের উদ্বোধন করবেন। ১২ ডিসেম্বর লাঞ্চের পরে তা শেষ হবে।
এদিন সমস্ত বণিকসভা, শিল্পসংস্থা ও কনসুলেটের প্রতিনিধিদের সামনে শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে। জমির কোনও অভাব নেই। মেধা সম্পন্ন শ্রমিক রয়েছে। জাতীয়স্তরে জিডিপি বৃদ্ধির হার যেখানে ছ’শতাংশ, সেখানের আমাদের রাজ্যে জিডিপি বৃদ্ধি হচ্ছে ১২.৫ শতাংশ হারে। চর্মশিল্প এবং জেমস-জুয়েলারিতে বিনিয়োগ বেড়েছে। বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সে চর্মনগরী তৈরি হয়েছে। সেখানে পাঁচ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। হাওড়ায় তৈরি হয়েছে জেমস-জুয়েলারি পার্ক। এছাড়াও আরও শিল্পতালুক তৈরি হয়েছে। টিসিএসের দ্বিতীয় কেন্দ্র চালু হচ্ছে। ইনফোসিস শিল্পস্থাপন করছে। নিউটাউনে ৫০ একর জমি দেওয়া হয়েছে। উইপ্রো এগিয়ে এসেছে। আমাদের এখানে বিনিয়োগের সবরকম সুবিধা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এই বার্তাই বিজনেস কনক্লেভের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। শুধু রাজ্যে বিনিয়োগকারীরা নন, দেশের বিশিষ্ট শিল্পসংস্থার কর্তাব্যক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাঁদের সামনে তুলে ধরা হবে বাংলার অগ্রগতি এবং শিল্পের পরিবেশ। আগামী শুক্রবার কলকাতায় শুরু হবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সাতদিন সিনেমার শহরে পরিণত হবে কলকাতা। এর পরেই ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দীঘায় দু’দিন ধরে চলবে বাংলায় বিনিয়োগের সুবিধা নিয়ে আলোচনা। বদলে যাওয়া বাংলার চিত্রকে তুলে ধরা হবে ওই কনক্লেভে।