সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
তিনি বলেন, কোনও নিম্নচাপ চূড়ান্তভাবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত সেটির নামকরণ করা যায় না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রে সৃষ্ট ঝড়গুলির নামকরণ হয় একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। তালিকা অনুযায়ী, এক-একটি দেশ এক-একটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়ার সুযোগ পায়। সেই নির্দিষ্ট বিধি অনুযায়ী এবার ছিল পাকিস্তানের পালা। তাদের প্রস্তাবিত নাম হল ‘বুলবুল’। তাই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়কে ‘বুলবুল’ নামেই চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তবে ঝড়ের নাম যা-ই হোক না কেন, শীত আসার দোরগোড়ায় আবহাওয়া দপ্তরের এমন পূর্বাভাসে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কালীপুজোর আগে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টির পর ক’দিন যেতে না যেতেই ফের ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাসে বিরক্ত হচ্ছেন মানুষ। তটে এসে আছড়ে পড়ার পর ‘বুলবুল’-এর ক্ষয়ক্ষতি করার ক্ষমতা কতটা থাকবে বা ঠিক কোন সময়ে তা এসে রাজ্যের উপকূলে আছড়ে পড়বে, তা এখনও নির্দিষ্ট করে বলেনি আবহাওয়া দপ্তর। তবে তাদের বুলেটিন থেকে জানা যাচ্ছে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট বাড়বে। সঞ্জীববাবু জানান, বুধবার সন্ধ্যায় নিম্নচাপটির অবস্থান ছিল কলকাতা থেকে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে। সেটি ক্রমশ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে সরছে। এই অবস্থায় সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং বাংলা, ওড়িশা ও বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে।
তবে আজ, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আবহাওয়া থাকবে বুধবারের মতোই। আকাশ কখনও পরিষ্কার, কখনও ঘোলাটে থাকবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ৩১ বেং ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ঝোড়ো হাওয়া শুরু হলে স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা আরও কমবে। এদিকে, সমুদ্রের উপরে যেহেতু এদিন ঘূর্ণিঝড়টি শক্তিশালী হওয়ার কথা, তাই আজ বিকেল থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের আজ বিকেলের মধ্যেই ফিরে আসার বার্তা পাঠানো হয়েছে। আজ সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সমুদ্র উত্তাল হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।