সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর সূত্রের দাবি, এ’রাজ্যে বিজ্ঞান উৎসব অনুষ্ঠিত হলেও, রাজ্যের আধিকারিক-দপ্তর কোনও পক্ষকেই সঠিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ফলে অনেকেই বিজ্ঞান উৎসবের অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু জানেন না। আর স্টল দেওয়ার বিষয়েও তাদের কাছে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি, উৎসব উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে যা জায়গা দেওয়া হয়েছে, সেখানেই স্টল দেওয়া হয়েছে। উল্টোদিকে উদ্যোক্তাদের একজনের দাবি, এর আগে দু’রাজ্যে এই উৎসব অনুষ্ঠান করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। এখানে রাজ্যকে সেই সমস্ত আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তারা সাড়া দেয়নি। কেন্দ্রকে সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগেই অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করতে হয়েছে। স্টল তৈরির ক্ষেত্রেও একইভাবে রাজ্যের তরফ থেকে পছন্দ হিসেবে স্থান বা মাপ নিয়ে কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়নি। ফলে উদ্যোক্তারা নিজেদের মতোই স্টল দিয়েছে। ওই উদ্যোক্তার আরও অভিযোগ, অনুষ্ঠান এলাকা সাজানো, পুলিসি ব্যবস্থা, ভিভিআইপি’র যাতায়াত সহ একাধিক বিষয়ে অসহযোগিতা করা হয়েছে।
এদিকে, কেন্দ্র-রাজ্য এই সংঘাতের চিত্র এদিন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল বিজ্ঞান উৎসবের মঞ্চতেই। বুধবার নিউটাউনের একটি হোটেলে বিজ্ঞান উৎসবের অংশ হিসেবেই একাধিক রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রকের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। অসম, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, ওড়িশার মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী হাজির ছিলেন না। অবশ্য হাজির ছিলেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। যদিও তাঁর বদলে কেন্দ্রের আরেক দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হাজির ছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রাথমিক সূচিতে রাজ্যের মন্ত্রী সহ অন্যান্য প্রতিনিধিদের নাম থাকলেও, চূড়ান্ত সূচিতে কারও নাম ছিল না। অনুষ্ঠানে রাজ্যের মন্ত্রীর হাজির না হওয়া নিয়ে উদ্যোক্তাদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সাড়া মেলেনি। এমনকী অনুষ্ঠানের শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে একই দাবি করেন উপস্থিত মন্ত্রীও। তিনি বলেন, কেন্দ্রের অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলা এই রাজ্য অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছে। যদিও রাজ্যের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, তিনি কোনও আমন্ত্রণপত্র পাইনি।