পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাগুইআটির অশ্বিনীনগরের ৭ নম্বর উদয়নপল্লিতে বাপের বাড়িতে থাকাকালীন তিনি জ্বর নিয়ে প্রথমে ভিআইপি রোডের ধারে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। জ্যোতিষ্কা নামে তাঁর কন্যাসন্তানটি ভালো আছে। মৃতার দিদির কাছে সে রয়েছে। বিধাননগর পুরসভার থেকে জানানো হয়েছে, এই নিয়ে এবছরে ডেঙ্গুতে দু’জন প্রাণ হারালেন। এই মুহূর্তে বাগুইআটি এলাকাতেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি রয়েছে। প্রসঙ্গত, বছর সাতেক আগে এক দুর্ঘটনায় রুনু বিশ্বাসের ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছিল। রুনুর মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন তাঁর বাবা-মা।
রুনুদেবীর শ্বশুরবাড়ি বহরমপুরে। কলকাতা পুলিসের চাকরির জন্য স্বামী অনুপ সরকারের সঙ্গে বাপের বাড়িতেই থাকতেন তিনি। তাঁর স্বামীও কলকাতা পুলিসের কর্মী। এদিন তাঁদের বাড়িতে গেলে মৃতার জেঠিমা মিঠু বিশ্বাস জানান, কালীপুজোর আগের শুক্রবার পিঙ্কিকে ( রুনু বিশ্বাস সরকারের ডাকনাম) ভিআইপি রোডের ধারে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শনিবার ওর সন্তান জন্ম নেয়। মঙ্গলবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাইপাসের ধারে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকে কারওর সঙ্গে কথা বলছিল না। শেষ কথা পিঙ্কি আমাকে বলেছিল, জ্যেঠি আমার শরীরে খুব জ্বালা করছে। কথা বলতে ভালো লাগছে না। তবে আমি মেয়েই চেয়েছিলাম। মেয়ে হওয়ায় আমি খুব খুশি হয়েছি।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, পিঙ্কিদের ওই বাড়িতে কিছু দিন আগে এক ভাড়াটিয়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আশেপাশে আরও কয়েক জন আক্রান্ত রয়েছেন। কাছেই বাগজোলা খাল রয়েছে। সেজন্য এখানে মশা বেশি। এদিন দুপুরে তাঁর দেহ উদয়নপল্লিতে নিয়ে গেলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃতার আত্মীয় প্রদীপ ঘোষ জানান, পুলিসের অনুরোধে তাঁর দেহ আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নিমতলায় তাঁর শেষকৃত্য হয়েছে। স্থানীয় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাসবী বিশ্বাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই ওয়ার্ডে ১০-২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমরা মশা মারার তেল সপ্তাহে একদিনের বদলে দু’বার দিই। ধোঁয়া প্রতিদিন দিই। কিন্তু, কী করব! সব জায়গাতেই তো ডেঙ্গু হচ্ছে। এ বিষয়ে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, এই পুর এলাকায় অক্টোবর মাসে ৪০০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। পুজোর পর বৃষ্টি হওয়ার একটু বেড়েছে। বাগজোলা খালে নিয়মিত ওষুধ দেওয়া হয়, নৌকোও চালানো হচ্ছে। তবে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। বাগুইআটির জর্দাবাগানে একটি আবাসনে চার জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। এদিন সেখানে গিয়ে পুর কর্মীরা ডেঙ্গুর মশার লার্ভা পেয়েছেন। মৃত রুনু বিশ্বাস সরকার।