ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে পিএসসি’র চেয়ারম্যান দেবাশিস বসু বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আমরা রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি, ক্লার্কশিপ পরীক্ষা আদৌ আমাদের নিতে হবে কি না। কারণ, এই পরীক্ষা নেওয়া জন্য একটা সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি লাগে। সরকার পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দিলে অবশ্যই তা পালন করব। সূত্রের দাবি, পিএসসি সর্বশেষ ২০০৭ সালে ক্লার্কশিপ পরীক্ষা নিয়েছিল। তারপর থেকে তারা এই কেরানি নিয়োগের প্রক্রিয়ার যুক্ত হয়নি। বছর পাঁচেক আগে রাজ্য এসএসসি এই করণিক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল। যদিও দুই পর্যায়ে লিখিত পরীক্ষা নিলেও সফল প্রার্থীদের চূড়ান্ত নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারেনি রাজ্য এসএসসি। কারণ, সেই সময়ই এই সংস্থাটাই উঠে যায়। পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পিএসসি। ফলে রাজ্যে সর্বশেষ ক্লার্কশিপ নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করেছিল পিএসসি। স্বভাবতই আগামী কেরানি নিয়োগের দায়িত্বও তাদের হাতে আসবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
যদিও নবান্নের আমলা মহলের একাংশের দাবি, লোয়ার ডিভিসন ক্লার্ক পুরোপুরি পিএসসি পোস্ট। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার আয়োজন ঘিরে কমিশনের সংশয়ী ভূমিকা তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। যদিও পিএসসি-র দাবি, বিষয়টি সম্পর্কে একটা সুস্পষ্ট সরকারি নীতি থাকা জরুরি। কেননা, গত ক্লার্কশিপ পরীক্ষা হয়েছিল ডাইরেক্টরেট এবং রিজিওনাল পর্যায়ের কর্মী নিয়োগের জন্য। অর্থাৎ রাজ্য এসএসসি আয়োজিত ওই পরীক্ষায় সফল প্রার্থীরা মূলত জেলার সরকারি অফিসে চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু এবার মূলত সেক্রেটারিয়েট, অর্থাৎ নবান্ন সহ সরকারের মূল দপ্তরে নিয়োগের পরীক্ষা হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের গুণগত মান যাচাইয়ে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে। নবান্নের এক কর্তার কথায়, এই মুহূর্তে অসংখ্য এলডিসি পদ শূন্য রয়েছে। কিন্তু আসন্ন পরীক্ষায় মোটামুটি হাজার পাঁচেক ক্লার্ক নেওয়া হতে পারে। ডিসেম্বর নাগাদ এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারে রাজ্য সরকার।