পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আলাদাভাবে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবের কাছে বকেয়া অর্থ দেওয়ার দাবি জানান। মোট ১২০০ কোটি টাকা বকেয়ার মধ্যে বাংলার আবাস যোজনাতেই ৭০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। তা শুনে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব আশ্বাস দিয়েছেন, বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া শৌচমুক্ত করার জন্য আর্থিকভাবে যে সহযোগিতা দরকার, তাও করবে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য পুর দপ্তরের পক্ষ থেকে এদিন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবের কাছে বকেয়া টাকার তালিকাও পেশ করা হয়।
এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা পাই। বার বার বলেও সেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। এদিন তাঁর তথ্য তুলে দেওয়া হয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব পুরসভাকে তাদের বকেয়া টাকার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে বলা হয়েছে। কোনও পুরসভায় টাকা বকেয়া থাকলে, তা আদায় করতে হবে। নিজের বাড়ি মনে করে পুর এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
এদিন স্বচ্ছ ভারত মিশন তথা মিশন নির্মল বাংলা, জঞ্জাল অপসারণ, প্রধানমন্ত্রী তথা বাংলার আবাস যোজনা, অম্রুত প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন নগোরন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব। তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমি জঞ্জাল অপসারণ নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। গত কয়েক মাসে বাংলায় খুব ভালো কাজ হয়েছে। গঙ্গার ধারের পুরসভাগুলি এই কাজ খুব ভালো করছে। আরও করতে হবে। গঙ্গায় যেন কোনও নিকাশি নালা না পড়ে। গঙ্গা যেন দূষিত না হয়। রাজ্যে এখনও ৪২টি পুরসভা উন্মুক্ত শৌচ মুক্ত হয়নি। সেই সব পুরসভাকে আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম বন্ধ করতে হবে।
এদিনের বৈঠকে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিব সুব্রত কুমার গুপ্ত প্রায় ৭০টি পুরসভার মিশন নির্মল বাংলা, জঞ্জাল অপসারণের কাজ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে রিপোর্ট করেন। যা দেখেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্র এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেই সব পুরসভার চেয়ারম্যানকে তাঁদের প্রশ্নের জবাব দিতে হয়। অনেকে তাঁদের সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। পুরমন্ত্রী তাঁদের নাগরিক পরিষেবার কাজে আরও আন্তরিক হওয়ার জন্য আবেদন করেন।