পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ভাষাগত কারণে বৈষম্য ভারতীয় সংবিধান বিরোধী। তাহলে শুধুমাত্র ইংরেজি, হিন্দি ও গুজরাতি কেন? ২০২০ সালের জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেইন) পরীক্ষায় সমস্ত আঞ্চলিক ভাষাকেই ঠাঁই দিতে হবে। বাংলা, ওড়িয়া, কন্নড়, তেলুগু, তামিল, মারাঠি ভাষায় পরীক্ষা চালু করার দাবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অভিষেক। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার রাজনৈতিক উদ্যোগ শুরু করেছে বিজেপি। দেশজুড়ে অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলি থেকে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ‘হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্থান’ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের এই মতাদর্শকেই বাস্তবায়িত করতে বিজেপি হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার পক্ষে সওয়াল করছে। যার বিরুদ্ধে বাংলাতে তো বটেই, দক্ষিণ ভারতে প্রবল বিরোধিতাও শুরু হয়েছে। অভিষেকের পোস্টে হিন্দির সঙ্গে গুজরাতি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ঘটনাচক্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুজনেই গুজরাতি। স্বভাবতই, শুধুমাত্র একটি রাজ্যের ভাষাকে সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ছাড় দেওয়া নিয়ে বিতর্ক ওঠাই প্রত্যাশিত। অভিষেক সেই বিতর্ককেই উস্কে দিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা।
তৃণমূল নেতা অবশ্য সরাসরি রাজনীতির প্রসঙ্গ আনেননি। এই ধরনের একদেশদর্শিতাকে সংবিধান অনুমোদন দেয় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনই বার্তা দিতে চেয়েছেন অভিষেক। আঞ্চলিক ভাষার দাবিতে তিনি শুধু বাংলার কথা বলেই থামেননি। দেশের অ-হিন্দি প্রায় সমস্ত প্রধান আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছেন। যা কার্যত সঙ্ঘের হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্থান মতবাদকে চ্যালেঞ্জ জানানোর শামিল। অভিষেকের মতে, ভাষার নামে এই বৈষম্য অসাংবিধানিক। তাই আসন্ন জয়েন্ট এন্ট্রান্স (মেইন) পরীক্ষায় বাংলা, ওড়িয়া সহ দক্ষিণী ভাষাগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছেন তৃণমূল যুব নেতা।