সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
প্রায়শই ছাত্র ইউনিয়নগুলির সঙ্গে অধ্যক্ষদের বিবাদ হয় ফেস্টের টাকাপয়সা নিয়ে। খোদ উপাচার্যের সঙ্গেও ছাত্র ইউনিয়নের এই ইস্যুতে গণ্ডগোলের ঘটনা বিরল নয়। কলকাতার কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই ঘটনা আকছার ঘটে। রাজ্য সরকারের নির্দেশেই ইউনিয়নগুলির প্রেসিডেন্ট অধ্যক্ষরা। আর্থিক বিষয়ে ইউনিয়নের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রদের দাবি ছিল, আর্থিক ব্যাপারে তাদেরও যুগ্ম স্বাক্ষরকারী হিসেবে রাখতে হবে। মনে করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবিকেই মান্যতা দিলেন। এমনকী, ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে শিক্ষা দপ্তর এতদিন যে ঢিলেঢালা মনোভাব দেখিয়ে এসেছে, তা থেকেও অনেকটা দূরে মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের মন্তব্য। চারটি একক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট আয়োজনের বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার আগেই দিয়েছে। কিন্তু যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজ রয়েছে, তেমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এখনও ছাত্রভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। কলেজগুলিতে কবে ভোট হবে, সে ব্যাপারেও সরকারের তরফে কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাত্রভোট নিয়ে তাড়া দিচ্ছিল, সরকার বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরেও তাদের কোনও উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না।
শিক্ষকদের মাথা উঁচু করে কাজ করার কথা বলে তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাইরের কারও কোনও কথা শুনবেন না। কে কী বলল, তা নিয়ে চিন্তা করবেন না। কেন্দ্রীয় সরকার যেমন নির্বাচিত, রাজ্য সরকারও জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যপাল যে সম্প্রতি উপাচার্যদের ডেকে বৈঠক করেছেন, যাদবপুরের কোর্ট মিটিংয়ে গিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন, সেটাকেই ইঙ্গিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ইনস্টিটিউট অব এমিনেন্সের তকমা এবং এক হাজার কোটি টাকা দেওয়ার ইস্যুতে সম্প্রতি কেন্দ্রকে পাল্টা দিয়েছে রাজ্য সরকার। এক আধিকারিক বলেন, কেন্দ্রকে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার চায়, আগের ঘোষণা এবং নিয়মাবলী মেনে যাদবপুরকে পুরো ১০০০ কোটি টাকা দেওয়া হোক। এর অর্ধেক অর্থ রাজ্য সরকারকে দিতে হবে, এমন শর্ত ছিল না। সেটাই মানা হোক। অর্থাৎ, এই ইস্যুতেও কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকার কোনওভাবে নরম হচ্ছে না। যাদবপুরকে ইনস্টিটিউট অব এমিনেন্সের তকমা দেওয়ার মুহূর্তে কেন্দ্র শর্ত আরোপ করেছিল, ১০০০ কোটি টাকার অর্ধেক, ৫০০ কোটি টাকা রাজ্যকে বহন করতে হবে। কারণ এটি রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই।
চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের আশ্বাস: উচ্চ মাধ্যমিক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এদিন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক সমিতির তরফে এক প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ সরকারের দাবি, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি, কলেজের অস্থায়ী শিক্ষকদের মতো আমাদের বিষয়টিও সুরাহা করা হোক। আমাদের সংখ্যা খুব কম। তিনি আমাদের প্রস্তাবটি গ্রহণ করে খোদ মুখ্যসচিবকে বিষয়টি দেখতে বলেন। আমরাও মুখ্যসচিবকে বিষয়টি জানাই। আমাদের দাবি, সহ শিক্ষকদের মতো আমাদের বেতনক্রম করা হোক। গ্র্যাচুইটি পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হোক।