সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
মামলাকারী কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা। স্ত্রী’র সঙ্গে তাঁর বিরোধ। তাঁদের দুই পুত্র। রোহিত ও হৃদেশ। রোহিতকে দীপক মানসিক রোগী সাজাতে চাইছেন। এই অভিযোগে রীতা নিম্ন আদালতেও গিয়েছিলেন। সেখানে জগদ্দল থানা উপযুক্ত রিপোর্ট দাখিল করে দেখিয়ে দিয়েছিল, রোহিত মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। সে থাকে মায়ের সঙ্গে। কিন্তু, কেন এমন করছেন দীপক? নিম্ন আদালতের রায়েই বলা হয়েছে, রীতার পিটিশন থেকেই স্পষ্ট যে, দীপক সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিতে চান। যুবক রোহিত সেখানে বাধার সৃষ্টি করছেন।
এদিন মামলার শুনানিতে রীতার আইনজীবী শবনম দে আদালতকে জানান, দীপকের বিরুদ্ধে তাঁর মক্কেল ‘ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্ট’ অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করেছেন। পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি বা বন্ধক রেখে তাঁদের পথে বসানোর চেষ্টা করছেন মামলাকারী। সামান্য একটি অংশ তাঁরা নিজেদের স্বার্থে আটকে রাখায়, দীপক পুলিসে অভিযোগ করেছিলেন। এখন পুলিসের বিরুদ্ধেই তিনি অভিযোগ এনেছেন। অথচ, এই ব্যক্তি স্ত্রী ও পুত্রের ভরণপোষণ করছেন না। উল্টে তাঁদের বাস্তুহারা করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন। পাশাপাশি খোরপোশ বা কোনওরকম আর্থিক দায়ভার যাতে না নিতে হয়, সেজন্য বাড়ি ও স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি, বন্ধক বা লিজে হস্তান্তর করে চলেছেন। তাঁর গয়নাও নিয়ে নিয়েছেন। এমন অভিযোগের সপক্ষে বেশ কিছু নথি তিনি পেশ করেন। যা দেখার পরই মামলাকারীকে আদালত ‘আউট অ্যান্ড আউট ফ্রড’ হিসেবে উল্লেখ করে।
ক্ষুব্ধ আদালত নির্দেশ দেয়, মামলাকারী যদি কোনও সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ নেন, লিজ দেন বা বিক্রি করেন, তাহলে প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ ‘অ্যাটাচড’ হবে। অর্থাৎ, সেই অর্থ থেকে রীতা ও রোহিতের জন্য খোরপোশ এবং ভরণপোষণের অর্থ আগে কেটে নেওয়া হবে।