পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কয়েকদিন আগেই বিকাশ ভবন থেকে কলেজগুলির অধ্যক্ষ, শিক্ষক সংগঠন এবং উপাচার্যদের চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, শিক্ষককুলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মিলন উৎসব হবে (গেট টুগেদার)। তবে সেটি স্রেফ মিলন উৎসবে সীমিত থাকবে না বলেই সবার ধারণা। কারণ, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকেই যখন ডাকা হচ্ছে, তখন তিনি কিছু না কিছু ঘোষণা করবেন, তা ধরে নিয়েছেন অনেকে। লোকসভা ভোটের ফলের পর থেকেই ষষ্ঠ বেতন কমিশন কবে ঘোষণা হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সরকারি কর্মচারীদের এক সভায় তা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সপ্তম বেতনক্রম নিয়ে মূলত নানা আন্দোলন হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত ২৫ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরই বেশ কিছু সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে। তারপরই এই সভার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তবে কোনও বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া যে কেউ করবেন না, সেটা অজানা নয় কারও। তাই মুখ্যমন্ত্রী যখন ডেকেছেন, প্রত্যাশার পারদও সেভাবেই বেড়েছে সকলের।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস সরকার বলেন, প্রত্যাশা নিয়েই ওই সভায় যাব আমরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়ের বক্তব্য, অন্যান্য রাজ্যের মতো এখানেও আমরা ইউজিসি বেতনক্রম চালুর দাবি জানিয়েছিলাম। সেই আশাতেই রয়েছি আমরা। অধ্যাপকদের দাবি, শুধু নয়া বেতনক্রম লাগু করলেই হবে না। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করতে হবে। একই সময় থেকে পে স্কেল চালু, ২০১৭ সালের শিক্ষা আইন বাতিল, স্ট্যাটিউট সংশোধন করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রতিনিধিত্বমূলক প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার দাবি তুলেছে অধ্যাপক সংগঠন অ্যাবুটাও। অধ্যাপকরা যাই দাবি করুক না কেন, শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই তার ভাগ্য ঝুলছে।
এদিকে, বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন অধ্যক্ষরাও। তাঁদের প্রত্যাশা অবশ্য আলাদা। কারও মতে, সিবিসিএস পদ্ধতি চালু হওয়ার কারণে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী থেকে ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও ঘোষণা হলে ভালো হয়। অনুমোদনকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে। অধ্যক্ষদের যাতায়াত এবং ইন্টারনেট খরচের টাকা কলেজ ফান্ড থেকে দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা হয়েছিল। সেই টাকা যাতে সরকার বহন করে, সেই প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছে।