পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আমৃত্যু চরম সঙ্ঘ বিরোধী গুরুদাসবাবুর স্মরণসভায় বিজেপি নেতৃত্বকে ডাকা হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিল সিপিআই নেতৃত্ব। তাঁর সতীর্থ বাম দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেস ও তৃণমূল যেমন অন্তিম শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিল, তেমনই বিজেপির দুই নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়ও পিস হাভেনে গুরুদাস দাশগুপ্তের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছিলেন। বাম শরিক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ডাকার পাশাপাশি তৃণমূলকেও ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষ আলোচনা করতে হয়নি এদিনের বৈঠকে। কিন্তু বিজেপিকে ডাকা নিয়ে দ্বিধায় ছিল সিপিআই নেতৃত্ব। দলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সমস্ত রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠনকে ডাকা হবে গুরুদাসবাবুর স্মরণসভায়। সেখানে কোনও ছুৎমার্গ রাখতে চায় না সিপিআই। বাকি দলগুলির মতো বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের তরফে কেউ ভূপেশ ভবনে না গেলেও যেহেতু তাঁদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিনিধি পিস হাভেনে গিয়েছিলেন, তাই সৌজন্যের কারণে বিজেপিকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিআই রাজ্য নেতৃত্ব। শুধু বিজেপি নয়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘকেও (বিএমএস) প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতার স্মরণসভায় ডাকা হচ্ছে। স্বপনবাবুর মতে, সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসির সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতা ছিলেন গুরুদাসবাবু। তাই অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের পাশাপাশি বিএমএসকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি জানান, ওই দিন দুপুর ১টায় ওই কর্মসূচি শুরু হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষ সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই সভায় যোগ দেবে বলে জানা গিয়েছে।