বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কেবল প্রচারই নয়, নির্বাচনী সংগঠন থেকে শুরু করে মনোনয়নপত্র পেশের ক্ষেত্রেও যাতে জোটের ঐক্যের ছবি মানুষের সামনে তুলে ধরা যায়, সেইজন্যও দুই পক্ষের নেতৃত্বই সংশ্লিষ্ট জেলা পার্টিকে নির্দেশ দিয়েছে। ঠিক হয়েছে, তিন কেন্দ্রেই উভয় শিবিরের সমর্থকরা একসঙ্গে মিছিল করে মনোনয়নপত্র পেশ করতে যাবে। আগামীকাল সোমবার খড়্গপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে সেই পর্ব শুরু হতে চলেছে। খড়্গপুরের মতো কালিয়াগঞ্জেও কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন পেশের দিন উত্তর দিনাজপুরের সিপিএম তথা বামফ্রন্টের স্থানীয় নেতা-সমর্থকরা যাতে সমবেত হয়, সে বিষয়ে আলিমুদ্দিন থেকে নির্দেশ গিয়েছে। এমনকী, কালিয়াগঞ্জের ভোট সংগঠন তৈরি করতে ইতিমধ্যেই এক দফা কর্মী বৈঠক করেছেন দলের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। করিমপুরে বাম তথা সিপিএম প্রার্থীর জন্য অনুরূপভাবে প্রচারে ঝাঁপাতে জেলা কংগ্রেসকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র। সিপিএম প্রার্থী গোলাম রাব্বির মনোনয়ন পেশের দিন কংগ্রেস সমর্থকরাও যাতে সর্বশক্তি নিয়ে সমবেত হয়, সেব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা পালনের নিদান দিয়েছেন তিনি।
অতীতে উপনির্বাচনের প্রচারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার রেওয়াজ রাজ্যের কোনও দলেরই তেমন ছিল না। কিন্তু লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপি’র অভাবনীয় অগ্রগতির পর এবার উপনির্বাচন নিয়ে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এনআরসি’র মতো বিতর্কিত ইস্যুও এই উপনির্বাচনে অন্যতম ফ্যাক্টর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তত কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুর কেন্দ্রে এনআরসি ইস্যু বড় ভূমিকা পালন করতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। এনআরসি আগামীদিনে রাজ্য রাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে, সেকারণে গত কয়েকদিন ধরে সব দলই কমবেশি প্রচারে ঝাঁপিয়েছে। তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস মূলত এনআরসি’র বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে, বিজেপি এনআরসি’র পক্ষে সওয়াল করছে তাদের সভা-সমাবেশে। বাম ও কংগ্রেস তাদের সীমিত সাংগঠনিক ক্ষমতা নিয়ে উপনির্বাচনের প্রচারে নামছে। তারা একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য রাজ্য স্তরের নেতৃত্বকে বক্তা হিসেবে চেয়েছে। বিধান ভবন ও আলিমুদ্দিনের কর্তারা ঠিক করেছেন, জোট নিয়ে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক ধারণা তৈরি করতে শীর্ষস্তরের নেতারা একসঙ্গে কয়েকটি জনসভা করবেন। সেই কারণে এই প্রচারে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী সহ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর প্রায় সব সদস্যই অংশ নেবেন। একইভাবে কংগ্রেসের তরফে সোমেন মিত্র, প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবু হাসনাত খানচৌধুরী, মনোজ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, শঙ্কর মালাকার, দীপা দাশমুন্সি প্রমুখ বামেদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করবেন। অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নানকেও এই যৌথ প্রচারে অংশ নেওয়ার আবেদন জানাবে প্রদেশ কংগ্রেস।