বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় শালীনতা বজায় রেখে যে কেউ যে কোনও মতামত জানাতেই পারেন। স্বাধীন মতপ্রকাশের পক্ষেই আমি। ব্যক্তি স্বাধীনতায় আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু এখন মতপ্রকাশের নামে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। ঘৃণা, বিতৃষ্ণা ছড়ানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্যক্তিকে আক্রমণ করার পাশাপাশি সমাজকে কলুষিত করা হচ্ছে। আসলে এসব হচ্ছে সঙ্ঘবদ্ধ চক্রান্তের মাধ্যমে। ইন্ধন দিয়ে এসব করানো হচ্ছে। আমি চাই, পুলিস আরও কড়া হোক এব্যাপারে। এই সব কুৎসার উৎস খুঁজে কঠোর ব্যবস্থা নিক।
মমতা যখন উত্তরবঙ্গে বসে এসব কথা বলছেন, তখন কলকাতার বুকে সন্ময় ইস্যুতে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। তবে তাঁরা এদিন কেউ সরাসরি দলের ব্যানারে নয়, অরাজনৈতিক সংগঠনের ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে এই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এমনই একটি সংগঠন সেভ ডেমোক্র্যাসি এদিন সন্ধ্যায় অ্যাকাডেমির সামনে রানুচ্ছায়া মঞ্চে সভা করে। সেখানে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুণীজনরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মোদ্দা বক্তব্য ছিল, অন্যায়ের প্রতিবাদে সরব হলেই বিরুদ্ধবাদীদের শায়েস্তা করতে কেন্দ্রের বিজেপি এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকার একই পথ বেছে নিয়েছে। সন্ময়বাবু একজন পরিচিত মুখ। তাঁর লেখালেখি বা সমালোচনায় যদি কারও সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়, তাহলে মানহানির মামলা করা যেতে পারে। কিন্তু তার বদলে পুলিসকে লেলিয়ে হয়রানি করা অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট আচরণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এব্যাপারে মোদি বা মমতা সরকারের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। প্রসঙ্গত, এদিন সন্ময়বাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করে ‘আমরা আক্রান্ত’ সংগঠন। অম্বিকেশ মহাপাত্রের নেতৃত্বাধীন সংগঠনের সদস্যরা সন্ময়বাবুর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। কংগ্রেস মুখপাত্রের স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যরা বলেন, এত মানুষ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসায় আমরা লড়াই করার সাহস পাচ্ছি।