বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
গত কয়েক বছর ধরে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে কর্মপ্রার্থীরা। যার জেরে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছিল কমিশনের দপ্তরে। এদিন সুজন বলেন, উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে নানা অস্বচ্ছতা ক্রমে বেড়ে চলেছে। প্রার্থীরা আদালতের হস্তক্ষেপ চাইতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে, বিলম্বিত হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। যার খেসারত দিতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। তারই প্রেক্ষিতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বলে জানান বাম পরিষদীয় নেতা। ২০১২ এবং ২০১৫ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা শিক্ষক নিয়োগের জন্য যোগ্যতা অর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। সুজনের দাবি, অনলাইনে আবেদনের তথ্য যাচাই ও ইন্টারভিউ শুরু করতেই তিন বছর কেটে গেল। সফল প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ নিয়েও জলঘোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত যে তালিকা কমিশন প্রকাশ করে, তা ছত্রে ছত্রে ভুল। সুজন বলেন, ইতিমধ্যে অন্তত পাঁচ হাজার অভিযোগপত্র কমিশনে জমা পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সুজনের দাবি, অনলাইন আবেদনের শেষ তারিখের পরেও ঘুরপথে দরখাস্ত জমা পড়েছে। সংরক্ষণ তালিকাতেও গরমিল রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। টেট পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর হিসেবের ক্ষেত্রে ইচ্ছামতো বাড়ানো বা কমানো হয়েছে। অ্যাকাডেমিক নম্বর যাঁদের বেশি, অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের ইন্টারভিউয়ে নম্বর কমানো হয়েছে এবং কম থাকলে বাড়ানো হয়েছে। সুজন বলেন, যোগ্যতার পরিবর্তে অন্য কোনও অস্বচ্ছ এবং অনৈতিক ব্যবস্থাই কি ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে? তাঁর মতে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওই অস্বচ্ছতার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের আস্থা দিনকে দিন কমে যাচ্ছে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
এদিকে কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারের পাল্টা দাবি, সুজনবাবু যে হাজার পাঁচেক অভিযোগের কথা বলেছেন, তা তাঁর জানা নেই। তবে, যেসব প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, তা লোপাট হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। প্রতিটি অভিযোগের প্রাপ্তি স্বীকারের নথি দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রশ্নে শতকরা ৯৯.৯ শতাংশ যথার্থ বলে তিনি নিশ্চিত। তবে, যদি কেউ কোনও অভিযোগ নির্দিষ্ট করে জানান কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেন, তাহলে ব্যবস্থা নিতে দেরি করা হবে না। ইন্টারভিউয়ের নম্বর দেওয়া নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা নিয়েও সৌমিত্রবাবু ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, নম্বর দেওয়াটা বিশেষজ্ঞদের হাতে। কোথাও উনিশ-বিশ হলেও হতে পারে, কিন্তু কমিশনের সেক্ষেত্রে কিছু করার নেই।