কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বর্তমানের সদ্যপ্রয়াত সম্পাদক শুভা দত্তকে যখন সবাই শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, তখন প্রায় সন্তান হারানোর অনুভূতি অলোকাদেবীর। ছবির মতো মনে রয়েছে ঘটনাগুলি। তিনি বলেন, প্রথম দিনেই ওর নম্রতা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। তার সঙ্গে ওর সাহিত্যতৃষা এবং বই পড়ার নেশা ছিল দেখার মতো। একবার ওর খাতা দেখে চমকে উঠেছিলাম। অসামান্য লেখা। বলেছিলাম, তুমি সব নিজেই লিখেছ? ও তখন সারল্য এবং সততার সঙ্গে জানিয়েছিল, ওর মেজদা (বর্তমান-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রয়াত বরুণ সেনগুপ্ত) ওকে পড়ায়। লিখতে গিয়ে যেখানে আটকেছে, মেজদাই গাইড করে দিয়েছেন। কিন্তু টের পেয়েছি, সত্যিই শুভার নিজেরও অসামান্য লেখার প্রতিভা ছিল।
অলোকাদেবী বলেন, একটা বয়সের পর ছাত্রীরা অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে যায়। শুভাও তাই হয়েছিল। স্কুল ছাড়ার পরেও আমাদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ছিল। অসুস্থতার কথা বলত। এই অসুস্থতার কারণে যোগাযোগের মাঝে ফারাকটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। শেষ কথা হয়েছিল মাস দু’য়েক আগে। বলেছিল, দিদি, আমি একদিন স্কুলে যাব। কেজি বিভাগটার কথা খুব মনে পড়ে। একদিন দেখে আসব। কিন্তু তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে গেল। মজার বিষয়, আমি নিজেও সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাই স্কুলের রিইউনিয়নেও আমরা একসঙ্গে যেতাম। অনেক কথা হয়েছে। তবে, এটা বলতেই হবে, বর্তমান একটা স্নেহচ্ছায়া হারালো। ওর আরও অনেক কিছু দেওয়ার ছিল। কিন্তু শরীর অনুমতি দিল না।