বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এবার বর্ষা এসেছে দেরিতে। মরশুমের প্রথমদিকে যে ঘাটতির কলঙ্ক মাথায় ছিল, নাগাড়ে বৃষ্টি তা অনেকটাই ফিকে করে দিয়েছে। এমনকী শেষ লগ্নে এসে পুজোতেও খানিক প্যাঁচ কষেছিল বর্ষা। তবে একটু আধটু বৃষ্টি ছাড়া বিরাট ভোগান্তির মুখে পড়েনি সাধারণ মানুষ। এমনকী বর্ষা বিদায়ের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় হাওয়া অফিস ঘোষণা করলেও, আকাশের মতিগতি সেসব তোয়াক্কা করতে নারাজ। অক্টোবরের শেষে এসেও গরমের কোপ পুরোপুরি শেষ হয়নি। উত্তুরে হাল্কা শুকনো বাতাসের পরশ এখনও পায়নি বঙ্গবাসী। বরং খানিক জলীয় বাতাসে অস্বস্তির রেশ রয়ে গিয়েছে এখনও। গত দিন দু’য়েকের হাল্কা মেঘ যেভাবে শহর ও শহরতলিতে জমা হয়েছে, তাতে শীত নিয়ে এখনই আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না অনেকেই।
সেই পরিস্থিতি যে আরও ঘোরালো হবে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতার হাওয়া অফিস। তারা জানায়, একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে পশ্চিম-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। তার অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের দিকে। সেই নিম্নচাপই সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প তুলে আনছে স্থলভাগে। তার জের পড়বে এরাজ্যেও। আজ বুধবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের অধিকাংশ জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। কলকাতার পাশাপাশি দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের কয়েকটি জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে মালদহ, দুই দিনাজপুরের পাশাপাশি দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি ঝরতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়ে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামী শুক্রবারও পরিস্থিতি একই রকম থাকার কথা। পরিস্থিতি খারাপ হলে ওই দিন বৃষ্টির মাত্রা খানিকটা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা আবহাওয়া দপ্তরের। তার পরের দিন অবশ্য বৃষ্টি ফিকে হয়ে আসবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে কালীপুজোয় বৃষ্টি হবে কি না, তা মঙ্গলবার পর্যন্ত জানাননি তাঁরা।