কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লাইব্রেরিয়ানরা শিক্ষকদের মতোই পে স্কেল এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধা পান। তাঁদের পেনশন, ছুটিছাটা এবং কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম (ক্যাস) সবই এক। কিন্তু লাইব্রেরিয়ানরা শিক্ষকদের মতো ওয়েস্ট বেঙ্গল এডুকেশন সার্ভিস ক্যাডার ছিলেন না। মন্ত্রিসভায় আলোচনা করে ক্যাবিনেট সেক্রেটারিয়েটের অনুমতি সাপেক্ষে লাইব্রেরিয়ানদেরও এই ক্যাডারের অন্তর্ভুক্ত করা হল। রাজ্যের আটটি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে অবশ্য এই সমস্যা ছিল না। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষকরা উচ্চশিক্ষা দপ্তরের টেকনিক্যাল এডুকেশন ডিরেক্টরেটের অধীনে। তাঁরা ওয়েস্ট বেঙ্গল জেনারেল সার্ভিস (ডব্লুবিজিএস) ক্যাডার। সেই কলেজগুলিতে যে লাইব্রেরিয়ানরা ছিলেন, তাঁদের প্রথমে কোনও ক্যাডারে রাখা হয়নি। তবে, দীর্ঘদিনের দাবিদাওয়ার পর ২০১৪ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের লাইব্রেরিয়ানদেরও ডব্লুবিজিএস ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু সার্ভিস ক্যাডার হিসেবে স্বীকৃতি পাননি ডিরেক্টর অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন (ডিপিআই)-এর অধীনে থাকা সরকারি ডিগ্রি কলেজ, আর্ট কলেজ, বিএড ও বিপিএড কলেজে কর্মরত লাইব্রেরিয়ানরা।
লাইব্রেরিয়ানদের প্রতি এই বঞ্চনা নিয়ে সরকারের কাছে বার বার দাবি পেশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি (ডব্লুবিজিসিটিএ)। খোদ শিক্ষামন্ত্রীও এ বিষয়ে একমত হয়েছিলেন। দেবপ্রিয় মল্লিক পিএসসি’র চেয়ারম্যান থাকার সময় এ ব্যাপারে ফুল হাউজ সম্মতি দেয়। এটা পে কমিশনের কাছেও পাঠানো হয়। কিন্তু বিষয়টি ইউজিসি পে স্কেলের বিষয় বলে, সেখানে কোনও সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি। অর্থ দপ্তরের কাছে পাঠানো হলে কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা চেয়ে ফের তা উচ্চশিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হয়। সেখানেই এতদিন ফাইল আটকে ছিল। এর ফলে, লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হচ্ছিল না। যার ফলে ৪০টিরও বেশি সাধারণ ডিগ্রি কলেজে এখন কোনও লাইব্রেরিয়ান নেই।
ডব্লুবিজিসিটিএ-র সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস সরকার বলেন, আমাদের দীর্ঘ ২০ বছরের দাবি মিটল। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এটা যে একেবারে ক্যাবিনেট থেকে সিদ্ধান্ত হয়ে এসেছে, নজিরবিহীনভাবে এই বিজ্ঞপ্তিতে সেটা স্পষ্ট উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে আর কোনও সমস্যাই রইল না। লেডি ব্রাবোর্ন কলেজের লাইব্রেরিয়ান মিতালী ভট্টাচার্য বলেন, সরকার এই দাবি নিয়ে আর আমাদের আদালতের দরজায় যেতে বাধ্য করেনি। তাই শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আসলে, এটা একটা পেশাগত সম্মানের ব্যাপার। লাইব্রেরিয়ানদের দু’টি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি রয়েছে। বহু লাইব্রেরিয়ান নেট ঊত্তীর্ণ, পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে। তাই এই বৈষম্যটা কিছুটা হলেও অসম্মানজনক ছিল। আমরা চাকরি পাওয়ার সময় এটা জানতামও না।