বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে রাজ্যে মাত্র ২৫টি কারখানার বাজি প্রস্তুত করার সঠিক লাইসেন্স রয়েছে। যার মধ্যে হাওড়ার পাঁচটি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদীয়া মিলিয়ে চারটি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১০টি, শিলিগুড়ির একটি এবং মালদহের পাঁচটি কারখানার সঠিক লাইসেন্স রয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতা সংলগ্ন জেলার মধ্যে বাজি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে চম্পাহাটি, বজবজ, মহেশতলা, নুঙ্গির নাম খুবই জনপ্রিয়। পর্ষদের হিসেব অনুযায়ী, চম্পাহাটি এলাকার মাত্র আটটি এবং মহেশতলা এলাকার মাত্র একটি কারখানার বাজি প্রস্তুত করার সঠিক লাইসেন্স রয়েছে। তাহলে বাকি কারখানাগুলি কি বেআইনি? পর্ষদের প্রাক্তন মুখ্য আইনি আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, আইন অনুযায়ী পর্ষদ সহ দমকল, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রক বিভাগ সকলেরই সঠিক লাইসেন্স নিতে হবে। কোনও একটি লাইসেন্স না থাকলেই, সেটিকে বেআইনি হিসেবে ধরা হবে।
পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ট্রেড লাইসেন্স, দমকল এবং বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রক বিভাগের সঠিক লাইসেন্স থাকলে, তারপরে পর্ষদ তাদের অনুমতি দেয় বাজি প্রস্তুত করার। সেক্ষেত্রে স্পষ্ট রাজ্যে শুধুমাত্র এই ২৫টি কারখানাই ওই নথি দেখাতে পেরেছে, তাই তাদের ছাড়পত্র দিয়েছে পর্ষদ। বাকিদের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়নি। বিশ্বজিৎবাবু আরও বলেন, বাজি প্রস্তুতকারী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় রাজ্যে ২৫ হাজার বাজি তৈরি করার সংস্থা রয়েছে। অথচ পর্ষদ বলছে সংখ্যাটা মাত্র ২৫। তাহলে বাকিগুলি নিশ্চিত বেআইনি। পুলিসের অবিলম্বে উচিত সেই বেআইনি কারখানাগুলি বন্ধ করা, তবেই নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপাদাপি কমবে। তিনি আরও বলেন, এবিষয়ে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে আদালত স্পষ্ট বলে দিয়েছে সমস্ত বেআইনি বাজি কারখানাকে বন্ধ করতে হবে। এবছরও উৎসব মরশুম শুরুর কয়েকমাস আগে থেকে তিনি এবিষয়ে পর্ষদ, পুলিস সহ প্রশাসনের সব স্তরে চিঠি দিয়ে এই আবেদন করেছেন। সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, একই জায়গা থেকে সমস্ত লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করার আবেদন তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন। সেই ব্যবস্থা এখনও চালু না হওয়াতে লাইসেন্স পেতে পারছেন না অনেকেই।