পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদি এদিন শীর্ষ আদালতে জানিয়েছেন, ১ হাজার ৮১ জনের মধ্যে মাত্র ২৪ জন চাকরি পায়নি। বাকিদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাকিরা পেল না কেন? জানতে চেয়ে বিচারপতি রাজ্যকে যাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে তার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তালিকা হাতে নিয়ে যারা চাকরি পাননি তারা কমিশনার অব স্কুল এডুকেশনের কাছে আবেদন করতে পারবেন। আজ চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে ৩৯ টি মামলার শুনানি ছিল। তাঁদের আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন জয়দীপ মজুমদার ও অমিতাব্রত রায়।
২০০৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকদের শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রশিক্ষক এবং প্রশিক্ষণহীন, উভয়কেই আবেদন করতে বলে। সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীদের অভিযোগ, কোনও কারণ ছাড়াই প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও একাংশকে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাই তারা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। প্রথমে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, পরে ডিভিশন বেঞ্চ হয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সেখানে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, যোগ্যদের উপযুক্ত নাম্বার দিতে হবে এবং শূন্যপদ না থাকলেও নতুন করে পদ তৈরি করে নিয়োগ করতে হবে।
কিন্তু রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ পালন করেনি এই অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সচিব পর্যায়ের অফিসারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেন আবেদনকারীরা। সেই মামলার শুনানিতে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে আজ মামলার শুনানির তারিখ ঠিক হয়। শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার কথা জানানোয় আদালত অবমাননার মামলা আর বহাল রাখল না সুপ্রিম কোর্ট। তবে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও যাদের এখনও নিয়োগ করা হয়নি, সেইসব চাকরিপ্রার্থীদের আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনের ছাড়পত্র দিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতির বেঞ্চ।