কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ষষ্ঠ বেতন কমিশনের যে সুপারিশ রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছে তাতে বলা হয়েছে, কোনও কর্মীর মূল বেতনের ২.৫৭ গুণ বৃদ্ধি হবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে যেহেতু বেতন কমিশন কার্যকর হচ্ছে, তাই ওই সময়ের পর থেকে বছরে তিন শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট বা বেতনবৃদ্ধি দেওয়া হবে। প্রতি বছর জুলাই মাসে সরকারি কর্মীদের ইনক্রিমেন্ট হয়। মূল বেতনের ২.৫৭ গুণ বৃদ্ধির সঙ্গে ২০১৬ থেকে প্রতি বছর তিন শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি যুক্ত করে কর্মীর মূল বেতন নির্ধারিত হবে। ওই মূল বেতনের সঙ্গে ১২ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা যুক্ত হবে। কোনও কর্মী সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা না নিলে বেতনের সঙ্গে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পাবেন।
এছাড়া সরকারি কর্মীদের বেতনের সঙ্গে যুক্ত হয় মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)। কিন্তু আগামী জানুয়ারি মাসে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার সময় রাজ্য সরকারি কর্মীদের কী হারে ডিএ দেওয়া হবে, সেটা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। ডিএ নিয়ে স্যাটে একটি মামলার রায় আছে। যাতে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই রায়ে তিন মাসের মধ্যে ডিএ-র নীতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই তিন মাসের সময়সীমা আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত আছে। স্যাট আরও বলেছে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার আগে মিটিয়ে দিতে হবে। তৃণমূল প্রভাবিত রাজ্য সরকারি কর্মী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টেপাধ্যায় জানিয়েছেন, রোপা বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছে। ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দেবে বলে তাঁরা আশা করেন। স্যাটে মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ডিএ নিয়ে সরকার কী করে, তা দেখে তাঁরা পরবর্তী কর্মসূচি নেবেন।