গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাজ্যে এখন দুই ধরনের রেশন প্রকল্পের কার্ড আছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় রয়েছে প্রায় ৬ কোটি ১ লক্ষ রেশন গ্রাহক। তিন কোটির কিছু বেশি রেশন গ্রাহক আছেন রাজ্যের দু’টি খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে। কেন্দ্র ও রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট আর্থিক মাপকাঠি আছে। কয়েকটি মাপকাঠি নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, এগুলি যে পরিবারে থাকবে, তারা ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য পাওয়ার রেশন কার্ড পাবে। আবার কয়েকটি মাপকাঠি চিহ্নিত করে বলে দেওয়া হয়েছে, এগুলি থাকলে কার্ড মিলবে না। যেমন সরকারি কর্মী হলে, মাসে ১৫ হাজার টাকার বেশি বেতন, পাকা বড় বাড়ি, গাড়ি সহ কিছু উপকরণ থাকলে সেই পরিবার ভর্তুকির খাদ্যসামগ্রী পাওয়ার রেশন কার্ড পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে না।
কিন্তু তা সত্ত্বেও বহু আর্থিক সঙ্গতি সম্পন্ন পরিবার দুই টাকা কেজি দরে চাল-গম পাওয়ার রেশন কার্ড হাতে পেয়ে গিয়েছে। খাদ্য দপ্তরের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১১ সালে যে আর্থ সামাজিক সমীক্ষা চালিয়েছিল, তার ভিত্তিতে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের রেশন কার্ড ইস্যু করা হয়। ওই সমীক্ষায় অনেক ভুল ভ্রান্তি ছিল। তার জেরে বহু সম্পন্ন পরিবারের কাছে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার কার্ড চলে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের এক নম্বর খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পেও দুই টাকা কেজি দরে চাল-গম দেওয়া হয়। এই কার্ড পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট আর্থিক মাপকাঠি চিহ্নিত করা হয়েছিল। বাড়িতে গিয়ে আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখে তবেই এই কার্ড ইস্যু হওয়ার কথা। কিন্তু এখানেও অনেক সম্পন্ন পরিবারের হাতে কার্ড চলে গিয়েছে।
খাদ্য দপ্তর বলেছে, এই সম্পন্ন লোকেরা অনেকেই কার্ড থাকলেও নিজেদের ব্যবহারের জন্য খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করেন না। তাঁদের বরাদ্দ বাইরে বেশি দামে বিক্রি হয়ে যায়। সাত নম্বর ফর্ম দাখিল করে ডিজিটাল রেশন কার্ড ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করলেও তাতে বিশেষ সাড়া মেলেনি। এখন বিশেষ রেশন কার্ডে শপিং মলের পণ্যে ছাড় পাওয়ার জন্য অনেকে ভর্তুকির খাদ্য পাওয়ার কার্ড নিজে থেকে ছেড়ে দেবেন বলে আশাবাদী খাদ্য দপ্তর। অনলাইনে বা অফলাইনে বিশেষ রেশন কার্ডের আবেদন করার সময় আগে পাওয়া ডিজিটাল কার্ডের উল্লেখ করে সেটি ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।