পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ফোন ব্যবহারের পরিসংখ্যানে দিল্লির ধারেকাছে আসতে পারেনি কোনও রাজ্য, বলছে ট্রাই। টেলিকম পরিষেবায় দিল্লির পরেই আছে হিমাচল প্রদেশ। সেখানে টেলি ঘনত্বের হার ১২৭.৫৩। এর পর আছে কেরল, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ। এরপর রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর এবং রাজস্থান। তারপর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ট্রাই জানাচ্ছে, এই রাজ্যের যে হিসেব তারা পেশ করেছে, তাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সিকিমও। পশ্চিমবঙ্গের পরে সামগ্রিকভাবে রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। এরপর রয়েছে ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, অসম এবং বিহার।
এ তো গেল রাজ্যগুলির অবস্থা। গোটা দেশে কত সংখ্যক ফোন পরিষেবা আছে? ট্রাইয়ের হিসেব বলছে, আগস্ট পর্যন্ত এখানে মোট ফোনের সংখ্যা প্রায় ১১৯ কোটি ১৮ লক্ষ। এর মধ্যে মূলত মোবাইল ফোন রয়েছে প্রায় ১১৭ কোটি ১০ লক্ষ। বাকিটা ওয়্যারলাইন বা ল্যান্ডলাইনের দখলে। দেশে ব্রডব্যান্ড গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৬১ কোটি ৫৪ লক্ষ। এর মধ্যে ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ডের দিকেই পাল্লা ভারী অনেকটাই। সেই গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৫৯ কোটি ৭১ লক্ষ। সংশ্লিষ্ট মহলের মত, যেভাবে ব্রডব্যান্ড ব্যবহার দেশজুড়ে বাড়ছে, বৃদ্ধিতে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এঁটে উঠতে পারছে না মোবাইল সংযোগও।
টাওয়ার বা অন্য কোনও কারণে সিগন্যালের সমস্যা থাকায় বহু গ্রাহক বদলে ফেলছেন তাঁদের মোবাইল পরিষেবা সংস্থা। নম্বর একই রেখে, পোর্ট করিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। পোর্টেবিলিটির সেই তালিকাতে অবশ্য পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গ। টেলিকম সংস্থাগুলি পশ্চিমবঙ্গকে দু’টি সার্কেলে ভাগ করে পরিষেবা দেয়। একটি কলকাতা, অপরটি বেঙ্গল সার্কেল। কলকাতা সার্কেলে গত আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৮ লক্ষ নম্বরে মোবাইল সংস্থা বদলে ফেলেছেন গ্রাহক। বেঙ্গল সার্কেলে সেই সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ২২ লক্ষ। গোটা দেশে গত আগস্ট পর্যন্ত মোবাইল নম্বর পোর্ট করিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৪৫ কোটি ২২ লক্ষ। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গোটা দেশে গ্রাহকরা নিজেদের টেলিকম সংস্থার পরিষেবা নিয়ে কতটা বিরক্ত এবং বিচলিত, এই পরিসংখ্যান দেখলেই তা বোঝা যায়। শুধু আগস্ট মাসেই দেশে প্রায় ৪৮ লক্ষ ৬০ হাজার গ্রাহক তাঁদের সংস্থা বদলে ফেলেছেন। কথা বলার সময় সিগন্যাল না পাওয়া বা ডেটার স্পিড নিয়ে অভিযোগ যেমন আছে, তেমনই যোগ হয়েছে টেলিকম সংস্থাগুলির তরফে কম পয়সায় পরিষেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতা। গোটা শিল্পেই যেভাবে টালবাহানা চলছে, তাতে পোর্টেবিলিটি’র হার আরও বাড়বে বলেই মনে করছে শিল্পমহল।