কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গোটা বিষয়ে শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্লোরোকুইনের সঙ্কট রয়েছে। নির্মাতা কোম্পানি ওষুধ পাঠানো বন্ধ করেছে। যাতে পরিষেবা নিয়ে সমস্যা না হয়, সেজন্য আমরা স্থানীয়ভাবে হাসপাতালগুলিকে ওষুধ কিনতে বলেছি। পাশাপাশি সাপ্লাই চেইন আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পরিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, এ নিয়ে আমাদের বৈঠক হয়েছে। যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি সামলাতে বেসরকারি জায়গা থেকে ওষুধ কিনতে বলা হয়েছে। যদিও এখন সারা বছরই আগের মতো আর ম্যালেরিয়া হয় না। তাই দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমরা ঠিক সামলে নিতে পারব।
চিকিৎসকমহল সূত্রের খবর, ম্যালেরিয়া দূরীকরণে কমবেশি তিনটি গ্রুপের ওষুধ বহুল পরিচিত এবং ব্যবহৃত। একটি ক্লোরোকুইন। অন্যটি প্রাইমাকুইন। এবং তৃতীয়টি আর্টিসুনেড। সাধারণ ভাইভক্স ম্যালেরিয়াতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এই ক্লোরোকুইন। ভাইভক্স জটিল আকার ধারণ করলে ডাক পড়ে প্রাইমাকুইন গ্রুপের ওষুধের। অন্যদিকে, প্রাণঘাতী ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়ায় দেওয়া হয় আর্টিসুনেড গোষ্ঠীর ওষুধ।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, গোটা দেশজুড়ে আগের মতো ম্যালেরিয়ার প্রকোপ না থাকায় নির্মাতা সংস্থাগুলি এই রোগের ওষুধ তৈরির উৎসাহ হারিয়েছে। সমস্যার সূত্রপাত সেখান থেকেই। উৎপাদন আগের মতো লাভজনক না হওয়ায় তৈরি কমাতে কমাতে তা একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে বেশ কিছু সংস্থা। মাসকয়েক আগেই ক্লোরোকুইন প্রস্তুতকারক সংস্থা কেন্দ্র ও রাজ্যকে ওষুধ পাঠানো বন্ধ করে দেয়। এরপরই স্বাস্থ্য দপ্তর আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে স্থানীয়ভাবে ও বিভিন্ন ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে অবস্থা সামলাতে নির্দেশ দেয়। ম্যালেরিয়ার আর এক জরুরি ওষুধ প্রাইমাকুইনের সঙ্কটও একইভাবে শুরু হয়। অবস্থা জটিল হচ্ছে দেখে কিছুদিন আগে স্বাস্থ্য দপ্তরের ম্যালেরিয়া শাখার কর্তারা এই ওষুধের নির্মাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠান। দপ্তরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, অনেক বলে কয়ে সংস্থাটিকে ওষুধ পাঠাতে রাজি করানো হয়েছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে প্রাইমাকুইন চলে আসবে।
এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাজ্যে ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কিছু কিছু সাধারণ ভাইভক্স ম্যালেরিয়া জটিল আকার ধারণ করছে। নিউট্রোফিল এবং প্লেটলেট কাউন্ট কমে যাচ্ছে। একাধিক অঙ্গের ক্ষতি করছে। তাই এক সময়ে বাড়ি বাড়ি কান্নার রোল ফেলে দেওয়া এই মশাবাহিত রোগ নিয়ে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কোনও স্থান নেই।