গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কংগ্রেসের বিভিন্ন জেলার সংগঠনে নজরদারি করার জন্য কয়েকজন নেতা-বিধায়ককে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে অনেকেই তাঁরা সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। সেই কারণে পর্যবেক্ষকদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে প্রদেশ নেতৃত্ব। এদিন অবশ্য পর্যবেক্ষকরা তাঁদের দায়িত্বে থাকা জেলায় সংগঠনের হাল, সদস্য সংখ্যা ইত্যাদির পাশাপাশি সিপিএম তথা বামেদের সঙ্গে জোটের প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁরা প্রায় সকলেই বলেন, লোকসভা ভোটে ভুল বোঝাবুঝির পর পরিস্থিতির তাগিদে ফের বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়াইয়ের ময়দানে নামার চাহিদা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’পক্ষের রাজ্য নেতৃত্ব কয়েকটি মিছিলে অংশ নিয়েছে। বাম নেতারা গান্ধীজির ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রদেশ দপ্তরে আয়োজিত প্রদর্শনী দেখতে এসেছেন। কিন্তু জেলায় নিচুতলায় এই প্রক্রিয়া এখনও দেখা যাচ্ছে না। সেটা না করতে পারলে জোট সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে না। তাই অবিলম্বে নিচুতলায় এই ধরনের যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর উত্তরে সোমেনবাবু নিচুতলাতেও বামেদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার পরামর্শ দেন পর্যবেক্ষকদের। একইসঙ্গে দলের সংগঠন ও কর্মসূচি নিয়ে রূপরেখা তৈরির জন্য এদিন পর্যবেক্ষকদের চারটি পৃথক কমিটিতে ভাগ করে আজ রবিবারের মধ্যে লিখিত পরামর্শ জমা দিতে নির্দেশ দেন।
এদিকে, দলের মুখপাত্র-নেতা তথা সাংবাদিক সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এদিন দলের বিধায়ক তথা সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি মিল্টন রশিদের নেতৃত্বে কয়েকশো সমর্থক মিছিল করে। বিধান ভবন থেকে সেই মিছিল যায় মৌলালি পর্যন্ত। তারপর সেখানে কয়েক মিনিট পথ অবরোধ করা হয়। এনআরসি সহ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও তারা এদিন বিক্ষোভ দেখায়। শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুতুল পোড়ায় বিক্ষোভকারীরা। সন্ময়-ইস্যুতে এদিন সোমেনবাবু সমস্ত জেলায় লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের নিদান দেন।