পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলায় লাইব্রেরি অথরিটি গঠনের ব্যাপারে গত ৪ জুলাই প্রথম বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বেঙ্গল লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশনের দু’জন প্রতিনিধি এই অথরিটিতে থাকবেন। অ্যাসোসিয়েশনের এগজিকিউটিভ কমিটি ওই দু’জনকে মনোনীত করবে। বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে ওই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা অথরিটিতে থাকতেন। সংগঠনটি বামপন্থী হিসেবেই পরিচিত। পরিবর্তনের পরও এই ব্যবস্থায় কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। কিন্তু সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর কয়েকটি মহল থেকে এব্যাপারে আপত্তি তোলা হয়। এরপর অথরিটি গঠনের পর লাইব্রেরি দপ্তর থেকে ফের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে অ্যাসোসিয়েশনের দু’জন প্রতিনিধিকে রাখার বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলাশাসক বা তাঁর মনোনীত কোনও সরকারি আধিকারিক অথরিটির চেয়ারম্যান হবেন। তবে ওই আধিকারিককে অবশ্যই মহকুমাশাসক হতে হবে। অথরিটিতে জেলা জনশিক্ষা আধিকারিক, তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক, লাইব্রেরি আধিকারিক ও জেলা গ্রন্থাগারিক থাকবেন। জেলা লাইব্রেরি আধিকারিক অথরিটির সদস্য সচিব হবেন। আগের বিজ্ঞপ্তিতেও এই আধিকারিকদের অথরিটিতে রাখা হয়েছিল।
সাধারণের গ্রন্থাগার ও কর্মী কল্যাণ সমিতির নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেছেন, জেলা লাইব্রেরি অথরিটি গঠনের নতুন ব্যবস্থাকে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন। অথরিটিতে কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের তাঁরা বিরোধী। তবে অথরিটি ঢেলে সাজালেই লাইব্রেরির হাল ফিরবে না। প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ করতে হবে। রাজ্যে সরকারি সাহায্যে চলা প্রায় আড়াই হাজার লাইব্রেরি আছে। সেখানে প্রায় ৩৩০০টি পদ শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে লাইব্রেরিগুলি সুষ্ঠুভাবে চালানো যাচ্ছে না। বহু লাইব্রেরি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করে লাইব্রেরি চালানোর প্রস্তাব অর্থ দপ্তরে গেলেও তা অনুমোদন পায়নি।