দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
বৈঠক সূত্রে খবর, কাউন্সিল না ইউনিয়ন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে তৃণাঙ্কুরকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণাঙ্কুরও সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। বৈঠকে উপস্থিত অন্য এক নেতা বলেন, ইউনিয়ন হোক বা কাউন্সিল, তাতে তো শ্রেণীকক্ষ প্রতিনিধি (সিআর) নির্বাচন করতেই হবে। সেই নির্বাচিত সিআর-রাই সিদ্ধান্ত নিন তাঁরা ইউনিয়ন চান নাকি কাউন্সিল। সেটাই যদি হয়, সেক্ষেত্রে ইউনিয়নের দিকেই পাল্লা ভারী থাকবে। কারণ অধিকাংশ ছাত্র প্রতিনিধিই ইউনিয়নের পক্ষেই মত দিয়েছেন।
এদিকে, প্রায় আড়াই বছর ধরে ছাত্র নির্বাচন বন্ধ থাকা নিয়ে এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মিটিংয়ে এসে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। তিনি বলেন, যাদবপুরের পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হচ্ছে না বলে আমাকে জানায়। তারা এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করেছে। আমি দেখছি আড়াই বছর ধরে কোনও কারণ ছাড়াই ছাত্র নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন থাকা সত্ত্বেও কেন এই নির্বাচন হয়নি, জানি না। তবে, প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে শুনেছি। সেটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই যাতে প্রযোজ্য হয়, সেই আবেদন রাখছি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই চারটি একক (ইউনিটারি) বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভোট করার জন্য নির্দেশিকা দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। সেই ইঙ্গিতই রাজ্যপাল করতে চেয়েছেন। এদিন অন্যান্য বাম ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি যাদবপুরের টিএমসিপি ইউনিটের তরফেও ছাত্রভোট নিয়ে রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন ইউনিট সভাপতি সঞ্জীব প্রামাণিক। তিনি বলেন, প্রায় ১৫ মিনিট রাজ্যপাল আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এদিকে, আজ থেকে এক সপ্তাহ ধরে কলেজগুলির সামনে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর জন্য টিএমসিপি নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, খোদ মুখ্যমন্ত্রীই এই ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে, টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবসে ছাত্রদের নিয়ে একটি সম্মেলনের কথা ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটা ১৫ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হবে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই দিন প্রায় ২০-২৫ হাজার ছাত্রছাত্রী উপস্থিত থাকবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতেও ছাত্র নেতৃত্বকে বলা হয়েছে। সম্মেলনে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অশোক দেব, তাপস রায়দের মতো প্রাক্তন ছাত্রনেতারাও উপস্থিত থাকবেন। প্রসঙ্গত, ওই সম্মেলনে ছাত্রদের মধ্যে থেকে দলের ভবিষ্যৎ নেতাদের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তাই সেদিকে সবারই লক্ষ্য থাকবে। এদিনের বৈঠকে সম্মেলন নিয়ে বিস্তারিত বৈঠক হয়েছে।