দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
সারদাকাণ্ডে কাশ্মীরে সুদীপ্ত ও দেবযানী গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের কাছ থেকে মিলেছিল ল্যাপটপ, মোবাইল, একটি ব্যাগ। যার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে বক্তব্য সিবিআইয়ের। এগুলি সিটের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া হয়নি বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কিছুদিন আগে তদন্তকারী অফিসারদের কাছে দেওয়া বয়ানে দেবযানী জানিয়েছেন, এই সমস্ত সামগ্রী তাঁদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করেছিলেন চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজ্য সরকারের তৈরি করা সিটের সদস্যরা। কারা কাশ্মীরে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন, তাঁদের নামও জানান দেবযানী। যদিও সিটের দাবি, কাশ্মীর থেকে যে সমস্ত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়, তার সবটাই তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু দেবযানীর এই বক্তব্যের পর তদন্ত অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। এই সমস্ত সামগ্রী কোথায় গেল, তা নিয়ে খোঁজ শুরু করেছে সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে এই সমস্ত সামগ্রী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে তারা। সুপ্রিম কোর্টের কাছে জমা দেওয়া হলফনামাতেও সিবিআই জানিয়েছে, এই সমস্ত সামগ্রী তাদের দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে তল্লাশিতে যাওয়া অফিসারদের জেরা করা হয়। উপরতলা এই বিষয়টি বলতে পারবে বলে তাঁরা তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়ে দিয়েছেন।
দেবযানীর বয়ানের পর সুদীপ্তর বক্তব্য জানা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারদের কাছে। কারণ কাশ্মীরে দু’জনেই একসঙ্গে পালান। একই হোটেলে ছিলেন। একসঙ্গেই ধরা পড়েন। কী কী সামগ্রী সিট বাজেয়াপ্ত করেছিল, তা তাঁর জানার কথা। তাঁর বয়ানের সঙ্গে দেবযানীর বয়ানের কোনও ফারাক রয়েছে কি না, তা মিলিয়ে দেখতে চাইছেন অফিসাররা। সেই বিষয় জানতে জেলে গিয়ে ফের তাঁকে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো একটি টিম সেখানে যায়। এই সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হয় সুদীপ্ত সেনকে। সূত্রের খবর, সুদীপ্তও জেরায় দাবি করেছেন, একাধিক সামগ্রী সিট বাজেয়াপ্ত করেছিল কাশ্মীর থেকে। তার মধ্যে ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ সহ বেশ কিছু জিনিসের কথা সারদা কর্তা জানিয়েছেন বলে সিবিআইয়ের দাবি। এখন দু’জনের বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হবে। তার ভিত্তিতে তদন্তের সঙ্গে জড়িত সিটের অফিসারদের ফের জেরার জন্য ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে।