পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অসম পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরই ওই ঘটনায় আজহারের নাম জড়ায়। তার আগে সে বাংলা ও অসমে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। বেশিরভাগ সময়েই সে এ রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াত। একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে ধরা যাচ্ছিল না। তবে তার ব্যাপারে খোঁজখবর চালানো হচ্ছিল। সেই সূত্রেই জানা যায়, সে অসমে আসছে নতুন মডিউলের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে। সেইমতো নজরদারি চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের জেএমবি শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সেখানেই তার অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ হয়েছে। একাধিক পদ্ধতিতে বিস্ফোরক তৈরিতে সে অত্যন্ত দক্ষ। সেই কারণে তাকে জেহাদি প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে সে বস হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের জেএমবি নেতাদের নির্দেশমতো সে এ রাজ্যে এসে কাজ শুরু করে। পুলিসের হাতে ধরা পড়া সংগঠনের অন্যতম সদস্য এক হাতুড়ের মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় হয় শিমুলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইউসুফের। এরপর আজহার বর্ধমানে চলে আসে। শিমুলিয়া মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে। পাশাপাশি খাগড়াগড় সহ যে সমস্ত জায়গায় বিস্ফোরক তৈরি করা হতো, সেখানে যাতায়াত শুরু করে। বিস্ফোরক তৈরির ফর্মুলা সে সরবরাহ করত। সেই সঙ্গে স্লিপার সেল তৈরির উপর গুরুত্ব দেয়। যাতে বেশি সংখ্যায় বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ তৈরি করা যায়। জানা গিয়েছে, খাগড়াগড়কাণ্ডে অভিযুক্ত ইউসুফ, কওসর সহ একাধিক জেহাদি নেতার সঙ্গে তার নিয়মিত বৈঠক হতো।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পর অন্যদের মতোই সে এ রাজ্য ছেড়ে পালায়। কিছুদিন বাংলাদেশে থাকার পর সে দক্ষিণ ভারতে চলে আসে। সেখানেই তার সঙ্গে কওসরের দেখা হয়। তারা জেএমবির সংগঠন তৈরির কাজে মন দেয়। রাজমিস্ত্রির কাজ করতে আসা যুবকদের মগজ ধোলাই করে জেহাদি কার্যকলাপে লাগাতে শুরু করে তারা। পুলিসকে আজহার জানিয়েছে, মডিউল তৈরির পাশাপাশি প্রশিক্ষিত সদস্য তৈরি করার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। যাতে একসঙ্গে একাধিক জায়গায় নাশকতা চালানো যায়। দক্ষিণ ভারত থেকে সে এ রাজ্যে চলে আসে। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ ও মালদহে সে অনেক দিন ছিল। সীমান্ত লাগায়ো এলাকায় অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলিতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল আজহারের। এখানেই জেহাদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে সে অফিসারদের জানিয়েছে। সেখানে যারা প্রশিক্ষণ দিতে আসত, তাদের নিয়োগ করা হতো আজহারের মাধ্যমে। পাশাপাশি সে নিজেও প্রশিক্ষণ দিত জেহাদি যুবকদের। এখানকার বিভিন্ন জেহাদি শিবিরে সে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়ে এসেছে। এখন এ রাজ্যে সংগঠন কারা চালাচ্ছে এবং মাথা কে, তা ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা হচ্ছে।