পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সভাঘরে তুমুল উচ্ছ্বাস আর করতালির মাঝে এবার অন্য প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, কেউ কেউ বলে বেড়ায় কলকাতায় নাকি বিজ্ঞানী-অর্থনীতিবিদ দেখা যায় না। অভিজিৎবাবু আমাদের কলকাতার ছেলে, আমাদের গর্ব, তাঁর স্ত্রীও নোবেল পেয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় বালিগঞ্জে অভিজিৎবাবুর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ছেলের সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রিসভার সহকর্মী ইন্দ্রনীল সেন। এদিন নবান্ন সভাঘরে বুধবারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মমতা বলেন, কী ইন্দ্রনীল, তুমি তো আমার সঙ্গে ছিলে! একটা প্রশ্ন আমাকে ভাবতে বাধ্য করিয়েছে। যদিও এখানে বলার কথা নয়, তবুও বলছি। একজন (পড়ুন অভিজিৎবাবুর মা) আমাকে প্রশ্ন করেন, আমি কি আধা মারাঠি, আধা বাঙালি! আমি তাঁকে কুর্নিশ করে বলেছি, মা, শুধু মা। তাঁর কোনও জাত-ধর্ম হয় নাকি! মারাঠি মা এবং বাঙালি বাবার সন্তান অভিজিৎবাবুর নোবেলপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁকে আধা-বাঙালি বলে কটাক্ষ করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, নাম না করে এদিন সেই কটাক্ষই ফিরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, কিছু লোক এখনও অবগুণ্ঠনের আড়ালে থেকে ক্রমাগত বাংলার কুৎসা ও সমালোচনা করে চলেছে। বাংলার ভাষা-সংস্কৃতিকে উচ্ছেদ করার এই চেষ্টা যখন হয়, খারাপ লাগে। নাসা থেকে ভাষা, কোথায় নেই বাঙালি! নাসার বিজ্ঞানী থেকে বিশিষ্ট ভাষাবিদ, সব জায়গায় বাংলা তথা বাঙালির আধিপত্য, জয়জয়কার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এসব ভুলে যারা শুধু সমালোচনা আর কুৎসা করে, আসলে তারা হিংসুটে। এসব দেখে হিংসা করলে হবে না। বাংলার ঠিকানা এখন গোটা বিশ্বজুড়ে। মায়ের কাছে প্রার্থনা, বাংলাকে আরও এগিয়ে দাও মা, বাংলা যেন বিশ্বসেরা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের কার্নিভাল সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সঙ্গে কলকাতা পুলিসের টর্নেডো বাহিনীর শিহরন জাগানো কসরত। এবার ছোট ছোট পুজো কমিটিগুলি যে ভাবনা উপস্থাপন করেছে, তা নয়নাভিরাম। এই প্রসঙ্গে পেয়ারাবাগান বস্তির ব্যাটাম ক্লাব আর কোলাহল গোষ্ঠীর মাতৃ আবাহনের আয়োজনের উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, আগামীবারের পুজোর জন্য এখন থেকে ধীরে-সুস্থে ভাবুন, প্ল্যান করুন। পুজো নিয়ে প্রতিযোগিতা হোক, তবে তা হোক সুস্থ পুজো আয়োজনের। কার্নিভালে দুর্দান্ত উপস্থাপনার জন্য এদিন পুরস্কৃত করা হয় কলকাতা পুলিসকে। সুদৃশ্য ট্রফি কমিশনার অনুজ শর্মার হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।